ভারতের মুম্বাইয়ে একজনের দেহে করোনার নতুন ধরন ‘এক্সই’ শনাক্ত হয়েছে। তবে এ খবরকে অস্বীকার করেছে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। সেখানে এক নারীর দেহে এ ধরনটি শনাক্ত হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলো। খবর এনডিটিভির।
এ বিষয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ৫০ বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ওই করোনা আক্রান্ত নারীর নমুনা ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্সে (এনআইবিএমজি) পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে, আদৌ ওমিক্রনের নতুন রূপ ‘এক্সই’ ভারতে প্রবেশ করেছে কি না।
যদিও ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডে ‘এক্সই’ রূপের প্রথম সন্ধান মেলার পর তা একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরন ওমিক্রন। সেই ওমিক্রনের মধ্যে আবার এত দিন ‘বিএ.২’ উপ-ধরন বেশি সংক্রমক বলে জানা গিয়েছিল। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ‘এক্সই’ ‘বিএ.২’ উপ-ধরনের তুলনায় অন্তত ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক ধারণা, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন রূপের অন্তর্গত ‘বিএ.১’ ও ‘বিএ.২’ উপ-ধরন দু’টির সংমিশ্রণের পর ‘এক্সই’ উপ-ধরন তৈরি হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রূপ ওমিক্রনের ‘বিএ.২’ রূপের চেয়েও কিছুটা বেশি সংক্রামক। কিন্তু এটিতে মৃত্যু ঝুঁকি যে বেশি, এমনটা বলার সময় আসেনি। তবে প্রাথমিকভাবে গবেষকরা মনে করছেন, ‘এক্সই’ রূপের মৃত্যু ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম হওয়ারই সম্ভাবনা।