সবশেষ ধাপের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন রাশিয়ার দুই নতুন টার্গেট। তারা হচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রাপ্তবয়স্ক দুই মেয়ে মারিয়া ভরোন্তোসভা ও ক্যাটেরিনা টিখোনোভা। রুশ প্রেসিডেন্টের সাবেক স্ত্রী লিউডমিলা শেকরেবনেভার গর্ভজাত সন্তান তারা। মার্কিন কর্মকর্তাদের বিশ্বাস এই দুই সন্তানের মাধ্যমে নিজের সম্পদ লুকিয়ে রেখেছেন পুতিন।
বুধবার ঘোষিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজে বলা হয়েছে পুতিনের মেয়ে ক্যাটেরিনা টিখোনোভা একজন টেক এক্সিকিউটিভ। তিনি রুশ সরকার এবং তাদের প্রতিরক্ষা শিল্পে সহায়তায় কাজ করে থাকেন।
পুতিনের আরেক মেয়ে মারিয়া ভরোন্তোসভা সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকেন। জেনেটিক গবেষণায় ক্রেমলিনের কাছ থেকে শত শত কোটি ডলার পেয়ে থাকেন তিনি। আর এই কর্মসূচি ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
মার্কিন প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে পুতিন এবং তাদের অনেক বন্ধু ও ঘনিষ্ঠরা তাদের সম্পদ লুকিয়ে রাখছেন। মার্কিন অর্থব্যবস্থা এবং বিশ্বের বহু স্থানে তাদের সম্পদ লুকিয়ে রাখা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস পুতিনের সম্পদের অনেকাংশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে লুকিয়ে রাখা আর সেই কারণেই আমরা তাদের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছি।’
বুধবার ঘোষিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের স্ত্রী ও মেয়েরা। এছাড়া মার্কিন নাগরিকদের রাশিয়ায় বিনিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
পুতিনের দুই মেয়ের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ক্রেমলিন। তবে ফেব্রুয়ারিতে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ গুরুত্বহীন। তিনি বলেন, ‘(পুতিন) বেশ আলাদা। ঘোষিত সম্পদের বাইরে প্রেসিডেন্টের কোনও সম্পর্ক নেই।’
সূত্র: রয়টার্স