জয়ের সুবাস পাচ্ছিল শেখ জামাল।
তিন গোল করে এগিয়েও যায় তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। সেই ম্যাচেই নাটকীয়তার জন্ম
দিলো বসুন্ধরা কিংস। বৃহস্পতিবার শেখ জামালের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে
বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
রোমাঞ্চকর ম্যাচটায় দ্বিতীয়ার্ধের শেষ ২০ মিনিটেই
হয়েছে ৬ গোল! অথচ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে প্রথমার্ধটা ছিল শুধুই
ম্যাড়ম্যাড়ে। দুই দল দুয়েকটি সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেনি।
বিরতির পর শেষ ২০ মিনিটে হয়ে দাঁড়ায় জমজমাট। ওতাবেক-সুলায়মান সিল্লাহর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেছেন কিংসলে-ভ্রানিয়েস।
শেখ
জামাল মূলত প্রতি আক্রমণ থেকে গোল পেয়েছে। ম্যাচ ঘড়ির ৭০ মিনিটে সতীর্থের
কাছ থেকে বল পেয়ে ওতাবেক বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে হাফ ভলিতে
জাল কাঁপিয়েছেন। ডিফেন্ডার কাজী তারিক রায়হান গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকলেও এই
যাত্রায় বিপদমুক্ত করতে পারেননি।
৭৬ মিনিটে সমতা ফেরে বসুন্ধরাও। ফ্রি-কিক থেকে স্তোয়াইন ভ্রানিয়েস বুলেট গতির শটে গোলকিপার মিতুল মার্মাকে হারিয়ে দলকে সমতায় ফেরান।
৮৪
মিনিটে সতীর্থ একজনের শট গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো ঠিকমতো তালুবন্দি
করতে পারেননি, ফিরতি বলে শেখ জামাল ফরোয়ার্ড সুলায়মান সিল্লাহ সামনে থেকে
সহজেই লক্ষ্যভেদ করে দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন। দুই মিনিট পর আবার সুলায়মান
সিল্লাহর জোরালো শট জাল কাঁপালে স্কোর হয় ৩-১। কিন্তু শেখ জামাল কি জানতো
বসুন্ধরা শেষ দিকেই সব নাটকীয়তা জমিয়ে রেখেছিল! ৮৯ মিনিটে স্কোর ৩-২ করে
বসুন্ধরা। মাহবুবুর রহমান সুফিলের ক্রসে এলিটা কিংসলের হেড এক ডিফেন্ডারের
মাথা ছুঁইয়ে জড়ায় জালে। ইনজুরি সময়ে সতীর্থের ক্রসে এলিটা কিংসলে হেড করলে
এক পয়েন্ট নিশ্চিত হয় বসুন্ধরার।
প্রিমিয়ার লিগে এটাই বসুন্ধরার প্রথম
ড্র। ১১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। সমান ম্যাচে শেখ জামাল
ষষ্ঠ ড্রতে ২১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে।