Published : Friday, 8 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 08.04.2022 12:48:59 AM
হাফেজ মাওলানা মো. মিজানুর রহমান ||
যে
ব্যক্তি এই মাসে একটি ফরজ আদায় করিল সে যেন রমজানের বাহিরে সত্তরটি ফরজ
আদায় করিল। হযরত সালমান (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (স:) শাবান মাসের শেষ
তারিখে আমাদেরকে নসিহত করেছেন তোমাদের উপর এমন একটিমাস এসেছে যাহা অত্যন্ত
মর্যাদা শীল ও বরকত ময়। এই মাসে এমন একটি রাত (শবে কদর) রহিয়াছে যাহা হাজার
মাস হইতে উত্তম। আল্লাহ তা’আলা এই মাসে রোজা রাখাকে ফরজ করেছেন এবং এই
মাসের রাত্রিগুলিকে নামাজ (অর্থাৎ তারাবি ইত্যাদি) পড়াকে সাওয়াবের কাজ
বানাইয়াছেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য এই মাসে কোন নফল এবাদত
করিল সে যেন রমজানের বাহিরে একটি ফরজ আদায় করিল আর যে ব্যক্তি এই মাসে একটি
ফরজ আদায় করিল সে যেন রমজানের বাহিরে সত্তরটি ফরজ আদায় করিল। ইহা ছবরের
মাস আর ছবরের বিনিময় আল্লাহতালা জান্নাত রাখিয়াছেন। ইহা মানুষের সাথে
সহানুভূতির মাস। আমাদের নিজ নিজ ইবাদত সমূহের প্রতি একটু চিন্তা করা
উচিত-যে এই মোবারক মাসে আমরা ফরজ ইবাদতগুলো কতটুকু এহতেমামের সাথে করিয়া
থাকি এবং নফল কতটুকু বাঁড়াইয়া দেই। ফরজ আদায়ের ব্যাপারে আমাদের অবস্থা হল,
সাহ্রি খাওয়ার পর যে ঘুমাইয়া যাওয়া হয় ইহাতে অধিকাংশ সময় ফজরের নামাজ কাজা
হইয়া যায় আর তা না হলে অন্তত: জামাতের সাথে নামাজ আদায় খুব কম লোকের হয়ে
থাকে। ঠিক তেমনিভাবে মাগরিবের নামাজ বা জামাত অনেক লোকের ছুটে যায় ইফতার
শেষ করতে করতে, অথচ জামাতের সাথে নামাজ আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল।
এইভাবে অন্যান্য ফরজ এবাদতের বিষয়ে নিজেই চিন্তা করে দেখুন যে রমজানুল
মোবারক কতটুকু এহতেমামের সাথে আমরা কাটিয়ে থাকি। ফরজ এবাদতগুলোর যখন এই
অবস্থা তখন আমাদের নফল আমলগুলোর হালাত কি হতে পারে। এশরাক ও চাশতের নামাজতো
ঘুমে কাটিয়া যায়, আওয়াবিনতো কঠিন, কারণ এমাত্র রোজা ভাঙ্গা হল ইফতারিতো
এখনো শেষ হয় নাই, আর তাহাজ্জত যায় সাহ্রি খাওয়াতে কাজেই নফল ইবাদতের
সুযোগ-কোথায়। যারা ব্যবসা বাণিজ্যের সাথে জড়িত তাদের অবস্থাতো দূরহ কারণ
আল্লাহ তা’আলা রমজান মাস দিলেন আমাদেরকে আখেরাত অর্জন করতে কিন্তু আমাদের
ব্যবসায়ীগণ এটাকে দুনিয়া অর্জনের একটি মুখ্যম সময় হিসাবে গ্রহণ করেছেন।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের বুঝার তাওফীক দান করুক।