পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির পর বৃহস্পতিবার (১২ মে) থেকে খুলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার রমজানে খোলা রাখা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২২ এপ্রিল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদের ছুটি শুরু হয়।
দীর্ঘ ছুটি শেষে ১২ মে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কয়েক দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে। স্কুল খোলার পর এগুলো মেনে চলতে হবে।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে-
এক শিফট বিশিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত এবং বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি সকাল ৯টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত) পাঠদান কার্যক্রম চলবে।
দুই শিফটের বিদ্যালয়সমূহে শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এবং বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত এবং তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকের ৪টা পর্যন্ত) পাঠদান কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এক শিফট বিশিষ্ট বিদ্যালয়সমূহে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি কার্যক্রম শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দুই শিফট বিশিষ্ট বিদ্যালয়সমূহে সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
এক শিফট বিশিষ্ট বিদ্যালয়সমূহে দৈনিক সমাবেশ সকাল ৯ থেকে সকাল ৯টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত এবং দুই শিফট বিশিষ্ট বিদ্যালয়সমূহে দৈনিক সমাবেশ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করতে হবে।
এতে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে রুটিন প্রণয়নপূর্বক সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমোদন গ্রহণ করবেন।
ঢাকা মহানগরীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানের সময়সূচির ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির পরিপত্রটি অনুসরণ করবেন।
শিখন ঘাটতি পূরণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে।