কুমিল্লার চান্দিনায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদ’র ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ দুই কর্মীর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। পৃথক অস্ত্রোপচারে আহত মাহমুদুল হাসান জনি’র হাত থেকে ও নাজমুল হাসান নাঈম এর পা থেকে দুইটি গুলি বের করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে পৃথক অস্ত্রোপচারে গুলি বের করার পাশাপাশি গুলিতে হাড় ভেঙ্গে যাওয়া দুই যুবকের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়েলিটি বিভাগের সহকারি রেজিস্টার ডা. মাজহারুল আলম জানান, সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গুলি বের করাসহ গুলির আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া হাত ও পায়ের হাড় সংযোজনে ইনপ্লান্ট করা হয়েছে। সহযোগি অধ্যাপক ডা. লিটন কুমার সাহা অস্ত্রোপচার করেন। উভয়ই শঙ্কামুক্ত ও চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে সোমবার (৯ মে) লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ এর ছোড়া গুলিতে চান্দিনা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা রূপনগর এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে মাহমুদুল হাসান জনি সরকার (২২) ও চান্দিয়ারা গ্রামের নূরুল ইসলাম এর ছেলে নাজমূল হোসেন নাঈম (২৫) গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৯ মে) বিকাল ৪টায় চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২ মমতাজ আহমেদ ভবন এ কলেজ ছাত্রলীগ ও পৌর এলডিপি পাল্টাপাল্টি ঈদপুনর্মিলনীর আয়োজন করেন। দুপুর ১টার পর থেকে ছাত্রলীগের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হতে শুরু করে। দুপুর আড়াইটায় এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২ প্রধান ফটকের সামনে গেলে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাদের সাথে কথা হয়। এসময় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতৃবৃন্দ একই স্থানে এলডিপি’র প্রোগ্রাম করতে নিষেধ করেন এবং ছাত্রলীগও প্রোগ্রাম করবেন না বলে জানান। এসময় তিনি গাড়ি নিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় কোন এক ছাত্রলীগ কর্মী রেদোয়ান আহমেদ এর গাড়িতে তরমুজ দিয়ে ঢিল ছুড়ে। এসময় রেদোয়ান আহমেদ গাড়ির জানালা খুলে পরপর দুইটি গুলি করেন।