Published : Monday, 16 May, 2022 at 12:00 AM, Update: 16.05.2022 1:01:31 AM
কুমিল্লা
কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) কেন্দ্রীয়
মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকায়
নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৪ মে) রাত সোয়া ৮টার দিকে পুলিশ পাহারায় একটি
অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হয় কুমিল্লার চান্দিনার এই সাবেক এমপি ও
প্রতিমন্ত্রীকে।
ঢাকার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে তাকে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র সুপার শাহজাহান আহমেদ।
এর
আগে ড. রেদোয়ান শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ শেষে উন্নত চিকিৎসার
জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন সেখানকার চিকিৎসকরা।
কুমিল্লা
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন বলেন, ড. রেদোয়ানের
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শরীরে কিছু সমস্যা থাকায় তাকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য বলা
হয়। এখন জেলা পুলিশ ও কারাগার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদারকি করছেন।
সিনিয়র
সুপার শাহজাহান আহমেদ বলেন, শনিবার সকাল থেকেই কারাগারে ড. রেদোয়ান কিছুটা
অসুস্থবোধ করেন। বিকেলের দিকে তার বুকে ব্যথা শুরু হলে সিভিল সার্জনের
সঙ্গে পরামর্শ করে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কারাগারে আনা হয়। ওই চিকিৎসক
পর্যবেক্ষণ শেষে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে
স্থানান্তর করার কথা জানান।
পরে বিকেলে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ
নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। কুমেকের চিকিৎসকরা রাতে তাকে ঢাকা হৃদরোগ
ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কারাবিধি মেনেই চিকিৎসকদের পরামর্শে ড.
রেদোয়ানকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৯ মে চান্দিনা
উপজেলা সদরের ‘রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২’-এর মমতাজ আহমেদ ভবনের
সামনে এলডিপি ও ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ পাল্টাপাল্টি ঈদ পুনর্মিলনী
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই দিন দুপুর থেকে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের
নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নেয়। দুপুর সোয়া ২টার দিকে রেদোয়ান আহমেদ গাড়ি
নিয়ে এলে কলেজের গেইটে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা গাড়ি থামিয়ে
তার সঙ্গে কথা বলেন।
কিছুক্ষণ পর দুপুর আড়াইটার দিকে রেদোয়ান আহমেদ
গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা ওই
গাড়িতে তরমুজের টুকরো ও ঢিল ছোঁড়ে। এ সময় রেদোয়ান আহমেদ পরপর দুটি গুলি
ছুঁড়ে দ্রুত চলে যান।
এরপর স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের
ধাওয়া খেয়ে রেদোয়ান চান্দিনা থানায় আশ্রয় নিলে পুলিশ তাকে আটক করে।
রেদোয়ানের ছোঁড়া গুলিতে চান্দিনা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য
মাহমুদুল হাসান সরকার জনি (২২) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী ও
স্থানীয় চান্দিয়ারা গ্রামের নাজমুল হোসেন নাঈম (২৮) গুলিবিদ্ধ হন। এ
দু’জনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ওইদিন রাত থেকেই কারাগারে রয়েছেন তিনি।