Published : Saturday, 11 June, 2022 at 12:00 AM, Update: 11.06.2022 1:18:30 AM
বশিরুল ইসলাম:
গতকাল কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর সহধর্মিণী আফরোজা জেসমিন টিকলী । তিনি ভোটারদের নিকট মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু’র জন্য টেবিল ঘড়ি মার্কায় ভোট চান ।
এসময় তিনি ভোটারদের বলেন, মেয়রের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। মেয়রের কাজ হচ্ছে জলাবদ্ধতা দূর করা, ড্রেন মেরামত করা, রাস্তাঘাট ঠিক করা, মসজিদ মাদ্রাসা স্কুলের উন্নয়ন কাজ করা, টেক্স দেখা ইত্যাদি । মেয়রের যে ক্ষমতা তা মনিরুল হক সাক্কু পুরোটা মেনেছে। কুমিল্লার উন্নয়ন দেখে আওয়ামীলীগের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেছেন তিনি কুমিল্লার হাইরাইজ বিল্ডিং দেখে অভিভূত। তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ স্বীকার করেছেন কুমিল্লার উন্নয়নের কথা। তিনিতো দেখেছেন সত্যটাই। এই হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের অনুমতি দিয়েছেন কে? আপনার প্রিয় নেতা সাক্কু ভাই। সিটি কর্পোরেশনের রাস্তাঘাট প্রশস্ত করেছে সাক্কু ভাই।
সাক্কু ভাইয়ের বাড়ি নান্না দীঘিরপাড়। সেখানে গেলে সাক্কু ভাইকে পাবেন। সাক্কু ভাইয়ের বাড়ী সবাই চিনে। কিন্তু আপনাদের কাছে আরেক দল এসেছে খুব লাফাচ্ছে। টগবগ টগবগ করছে। আমড়াতলী থেকে যে এসেছে তাকে তো ধরতে পারবেন না। আমড়াতলী সিটি কর্পোরেশন এলাকায়ই তো পরেনা। ঐটা একটা ইউনিয়ন কোথায় খুজে পাবেন তাকে । কেমনে ধরবেন? মনিরুল হক সাক্কু ভাই কতটা বিএনপি কতটা জিয়ার সৈনিক তা খালেদা জিয়া সাথে বিভিন্ন সভা মিছিলের ছবিতে বুঝা যায়। এসময় তিনি খালেদা জিয়ার সাথে মনিরুল হক সাক্কুর ছবি দেখিয়ে বলেন এই হলো মনিরুল হক সাক্কু এই হলো খালেদা জিয়া। আপনাদের নিকট কেউ বিএনপি পরিচয়ে ভোট চাইতে আসলে বলবেন এরকম ছবি আনতে। অরিজিনাল বিএনপি কে ভোটারদের জিজ্ঞেস করলে ভোটাররা একসুরে বলে সাক্কু ভাই ধানের শীষও সাক্কু ভাই। এই ধানের শীষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের, ধানের শীষ খালেদা জিয়ার, ধানের শীষ তারুণ্যের প্রতিক তারেক জিয়ার। কুমিল্লায় ধানের শীষ মানে একমাত্র আকবর হোসেন সাহেব ছিল এখন একমাত্র সাক্কু ভাই। মনিরুল হক সাক্কু ভাইয়ের মার্কা ধানের শীষ না হয়ে টেবিল ঘড়ি কেন এই প্রশ্ন আপনাদের থাকতে পারে তাই বলছি বিএনপি ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন করবে না তাই মনিরুল হক সাক্কু বিএনপি থেকে অব্যাহতি নিয়ে কুমিল্লার মানুষের জন্য স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করছে। মনিরুল হক সাক্কুর মার্কা ধানের শীষ না হয়ে টেবিল ঘড়ি হয়েছে। আবার যখন পাশ করবে তখন আবার ধানের শীষ দেখবেন। সাক্কু ভাই ৪২ বছর বিএনপি’র রাজনীতি করছে ধানের শীষ মার্কার। কোনদিন বিএনপি ছেড়ে যায় নাই। কেন যাবে? সাক্কু ভাইকি গরীব, সাক্কু ভাইয়ের কি টাকার অভাব?
তিনি আরো বলেন, মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর একটাই সুনাম তিনি ড্রেনের পাশে দাড়িয়ে ড্রেন পরিস্কার করে, রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ফুল গাছ লাগায়। মানুষ বলে এই ড্রেনের পাশে দাড়িয়ে কাজ হচ্ছেনা। আমি বলবো এই ড্রেনের পাশে দাড়িয়েইতো কাজ হচ্ছে। কারণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাজইতো হচ্ছে ড্রেন পরিস্কার করা। তিনিতো নিজে করেনা তিনি দাড়িয়ে থেকে লোকদের দিয়ে করায় এটা করো ওটা করো এই ভাবে করো। ড্রেনের পাশে দাড়িয়ে থেকেই তিনি কুমিল্লায় ফুলও ফুটাইছে ফলও ফুটাইছে। কুমিল্লা শহরের যেখানে খারাপ আড্ডাখানা ছিল সেখানে ফুলে ফুলে ভরা আলোতে ভরা। কুমিল্লায় এখন আর ইভটিজিং হয়না। কুমিল্লা শহরে ইভটিজিং নাই। মেয়েদের আঁচল ধরে কেউ টানেনা ওড়না ধরে টানেনা মোবাইল চুরি হয়না কারণ রাস্তাঘাটে আলো।
তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আগামী ১৫ তারিখ কেন্দ্রে যাবেন ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিবেন। সাক্কু ভাইয়ের মার্কা টেবিল ঘড়ি মার্কা।
আলমাস আহমেদের সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মনিরুল হক সাক্কু’র ছোট বোন নাজমা হক নিনা, বড় ভাইয়ের স্ত্রী মায়া, জেসমিন, মুক্তা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রত্না জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল কবির সাজ্জাদ, ভাতিজি যুথিসহ মহিলা ভোটার গন।