কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘীর পাড়ের নিজ কার্যালয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচনি ইশতেহার তুলে ধরেছেন। রবিবার দুপুর ২টায় নিজের অতীত আমল এবং আগামীর উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ১৬ দফায় ইশতেহার ঘোষণা করেছেন তিনি।
সাক্কুর নির্বাচনি ইশতেহারে অবকাঠামো, সড়কবাতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, ধর্মীয় সম্প্রীতি, বিনোদন, স্বাস্থ্য ও করোনাকালীন সেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বাজার-শপিংমল, ক্রীড়া ও খেলার মাঠ, বস্তিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, ত্রাণ সহায়তা, নিরাপত্তার ব্যবস্থা, মাদক, সন্ত্রাস ও ইভটিজিং মুক্ত করা, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান প্রদান, পাঠাগার স্থাপন এবং গৃহকর নির্ধারণের বিষয় উঠে এসেছে।
এ সময় উল্লিখিত বিষয়গুলোতে তার বিগত দিনের অসম্পূর্ণ উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আগামীতে এর পরিপূর্ণ রূপদানের ইচ্ছার কথা ব্যক্ত ধরেন সাবেক এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমি নতুন একটি সিটি হাতে পেয়েছিলাম। যার কিছুই ছিল না। গত দুই মেয়াদে আমি যতটুকু পেরেছি উন্নয়ন করেছি। আমার হাতে সিটির সমস্যার ৭০ শতাংশ সমাধান হয়েছে। আগামীতে বিজয়ী হতে পারলে বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করবো।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম এবং শনিবার স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
এদিকে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ইশতেহার ঘোষণা করবেন না বলে জানা গেছে। তবে তিনি তার প্রচারণায় নানান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অপর এক প্রার্থী কামরুল হাসান বাবুল এখনও ইশতেহার ঘোষণা করেননি।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।