ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
আমার লড়াই এমপি বাহারের সাথে: সাক্কু
Published : Tuesday, 14 June, 2022 at 12:00 AM, Update: 14.06.2022 2:09:50 AM
আমার লড়াই এমপি বাহারের সাথে: সাক্কুনিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই উল্লেখ করে সাক্কু বলেন, আমি জানতে পেরেছি ইলেকশনের দিন সিটিকর্পোরেশনের আশপাশের ইউনিয়ন থেকে লোকজন এসে শহরে পেনিক সৃষ্টি করবে। সবগুলো ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহার ভাইয়ের (এমপি বাহার) লোক। শুনতেছি উনি সবাইকে বলতেছে তাদেরকে এখানে এনে পেনিক সৃষ্টি করে রাখবে। রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। ভোটাররা যেনো কেন্দ্রে যেতে না পারে সেই অবস্থা তৈরি করে রাখবে। কেন্দ্রের সামনে যদি বিপুল মানুষ, যারা ভোটার না তারা বিশৃঙ্খলা করতে থাকে তাহলে তো সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে না। নির্বাচন কমিশন প্রচুর পরিমাণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের কথা বলছে, এগুলো প্রয়োগ হোক, বহিরাগতদের এলাকা ছাড়া করুক।
রিফাত ভাই এমপি বাহার সাহেবের নমিনি। তার সবকিছুই চালাইতাছে বাহার ভাই। আমার যুদ্ধ তো বাহার ভাইয়ের সাথে হইতাছে।
কুসিক নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিন সোমবার সকালে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় মনিরুল হক সাক্কু এসব কথা বলেন।
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আপনি কতোটা আশাবাদী? এমন প্রশ্নে সাক্কু বলেন, এখন যেই পরিস্থিতি, সেই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে আশা করি। এমপি সাহেব (আ ক ম বাহাউদ্দিন) এখনো এলাকায় আছেন। সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) নিরুপায় বললো। সিইসি যেখানে নিরুপায় সেখানে আমি কেমনে আশাবাদী হই। উনি (সিইসি) একটা সংস্থার প্রধান, এটা সাংবিধানিক পোস্ট। উনি অসহায় হয়ে গেলে আমা সাধারণ মানুষ আর কি করবো?
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে প্রতি মিনিটে মিনিটে শঙ্কা বাড়ছে। ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা ক্ষণে ক্ষণে আমাকে ফোন করে হুমকি ধমকির কথা বলছে। তাদের কথা শুনতে শুনতে আমার কানে ব্যথা হয়ে গেছে। আমি আর কথা বলতে পারছি না। তাদেরকে বলা হচ্ছে, মাইরা ফেলবো, ধইরা ফেলবো। কেন্দ্রের সামনে যাইও না। অনবরবত এগুলু শুনেই আসছি। অবশ্য এগুলো নিয়ে আমি চিন্তা করি না। নির্বাচন করতে করতে আমি অভ্যস্থ। হুমকি-ধমকিতে ভয় পাই না। নির্বাচন কমিশন বলছে আজকে থেকে সজাগ হবে। কী সজাগ হয় দেখি না।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত আপনার বিরুদ্ধে কালোটাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন- এমন প্রশ্নে সাক্কু বলেন, আমি কোথায় টাকা ছড়াচ্ছি তারা প্রমাণ করুক না। আমি জানি আমার বাসার সামনে লোকজন আছে। আমিও তো বলতে পারি ওনি টাকা ছড়াচ্ছেন। কিন্তু এ ধরনের কথা বলা ঠিক না। ইলেকশনে টাকা ছড়াছড়ি হলে হাতে-নাতে ধরে প্রমাণ করুক।
তিনি (রিফাত) শুরু থেকেই আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আসছেন। একবার বলছেন আমি দুর্নীতি করেছি। এখন বলছেন টাকা ছিটাচ্ছি। তার কাছে কি কোনো প্রমাণ আছে? প্রমাণ ছাড়া কথা বলে লাভ নাই, আমি টাকা ছড়াই নাই। আমি মিথ্যা কথার মানুষ না, মিথ্যা বলি না। আমি দুর্নীতি করে থাকলে একটা কাগজ ওনি দেখাক। ইলেকশনের পরে শ্বেতপত্র কেন প্রকাশ করবেন। আজকে প্রমাণ করেন আমি নির্বাচন ছেড়ে চলে যাবো।
তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নেমে ভোটের কথা না বলে আমার বদনাম রটাচ্ছে। এটাতো দরকার নেই। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ থাকলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে অভিযোগ করুক, সময় তো বেশি লাগে না। তারা আমার চরিত্র সম্পর্কে কথা বলে, এটা তো ঠিক না। এটা করবে জনগণ, যারা ভোটারা তারা আমাকে যাচাই-বাছাই করবে।