আগামীকাল সোমবার থেকে রাত ৮টার মধ্যেই বন্ধ করতে হবে সকল ধরনের বিপণি বিতান ও দোকানপাট। এ সিদ্ধান্ত সারা দেশে একযোগে কার্যকর হবে।
রবিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। এ সময় বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই), দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২০০৬ সালের শ্রম আইন এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বৈঠকসূত্রে জানা যায়।
তবে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই রাত ১০টা পর্যন্ত এ নিয়ম শিথিল করার অনুরোধ আসে। এই দুই ঘণ্টা বাড়তি দেওয়া হবে কিনা—এ প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দফতরে অনুমতির জন্য পাঠানো হবে। সেখানে অনুমতি পেলে পরে জানানো হবে।
তবে হাসপাতাল, রেল স্টেশন, বাস স্টেশন, বিমানবন্দর, হোটেল, নাপিত, ওষুধের দোকান, সিনেমা, থিয়েটার, ক্লাব, মিষ্টি ও ফুলের দোকান, ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস অফিসসহ অন্যান্য জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এ নিয়মের বাইরে থাকবে।
এর আগে, গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের সই করা চিঠিতে রাত আটটার পর সারা দেশে দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণি বিতান, কাঁচাবাজার খোলা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশনা দিয়েছেন।