Published : Sunday, 19 June, 2022 at 8:10 PM, Update: 19.06.2022 8:13:13 PM
ভারি বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধায় রাত থেকে ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা, ব্রক্ষপুত্র ও করতোয়া নদীর পানিও বেড়েই চলছে।
এরই মধ্যে ঘাঘট, তিস্তা, যমুনা, করতোয়া নদী তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন ফসলি জমি ও গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে গেছে। বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।
এদিকে, নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন । প্রতিদিনই অনেক বাড়ি ঘর, গাছপালাসহ নানা জাতের ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। বাধ্য হয়ে ছেড়ে যেতে হচ্ছে বাপদাদার ভিটামাটি। এরইমধ্যে জেলার চার উপজেলার অন্তত দেড় শতাধিক পরিবার ভাঙনে স্বীকার হয়ে এখন নিঃস্ব।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা সদর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ঘাঘট নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার, ব্রক্ষপুত্র নদের ফুলছড়ি পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার নদীর চর রহিমাপুর পয়েন্টে ১ দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, ঘাঘট নদীর পানি রাত থেকেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৯ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো মেরামতের কাজ চলছে। পানি বিপৎসীমার অতিক্রম করলেও এই মুহূর্তে কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নাই।