ক্রীড়া প্রতিবেদক ||
পরাজয়টা তো অবধারিতই ছিল। তবে সেটা কত দ্রুত আসে, তা ছিল দেখার বিষয়। তৃতীয় দিনই ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তুলে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। শেষ দুই দিনে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল কেবল ৩৫ রান।
আজ চতুর্থ দিন মাঠে নেমে মাত্র ৭ ওভার খেলেছেন ক্যারিবীয় দুই অপরাজিত ব্যাটার জন ক্যাম্পবেল এবং জার্মেইন ব্ল্যাকউড। তাতে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। খালেদ আহমেদ আগেরদিন যেভাবে আতঙ্ক ছড়াতে পেরেছিলেন ক্যারিবীয় শিবিরে, আজ সেটা আর পারেননি।
চতুর্থ ইনিংসে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ৮৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে ৯ রান তুলতেই ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচকে কিছুটা জমিয়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশের পেসার খালেদ আহমেদ।
কিন্তু জন ক্যাম্পবেল আর জার্মেইন ব্ল্যাকউড মিলে খালেদ আমহেদের সেই অপ্রতিরোধ্য গতি থামিয়ে দিয়েছিলেন। ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে তৃতীয় দিন শেষ করেন। জয়ের জন্য বাকি ৩৫ রান আজ মাঠে নেমে মাত্র ৭ ওভার খেলেই তুলে নেন তারা দু’জন।
তৃতীয় দিনই পরাজয় ঘটে যেতে পারতো টাইগারদের। মিডল অর্ডারে যদি সাকিব আল হাসান আর নুরুল হাসান সোহান ঘুরে না দাঁড়াতেন, তাহলে ইনিংস পরাজয়ের সম্ভাবনাও ছিল
সাকিব-সোহানের জুটিতে ইনিংস পরাজয় এড়িয়ে ক্যারিবীয়দের সামনে লিডও এনে দিয়েছিল ৮৩ রানের। সাকিব ৬৩ এবং সোহান করেছিলেন ৬৪ রান।
৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর পেসার খালেদ আহমেদের তোপের মুখে পড়ে ক্যারিবিয়রা। ১ রানে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট, ২ রানে রেমন রেইফার এবং কোনো রান না করেই ফিরে যান এনক্রুমাহ বোনার। এরপরই দাঁড়িয়ে যান ক্যাম্পবেল আর ব্ল্যাকউড।
জন ক্যাম্পবেল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬৭ বলে ৫৮ রান করে এবং জার্মেইন ব্ল্যাকউড ৫৩ বলে অপরাজিত থাকেন ২৬ রান করে। ক্যারিবীয়দের ৩ উইকেট একাই নেন খালেদ।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তামিমের ৫১ রান সত্ত্বেও বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১০৩ রানে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয় ২৬৫ রানে। জবাবে ২৪৫ রান করে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ৮৪ রানের লক্ষ্য পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই লক্ষ্য তারা তাড়া করে ২২ ওভারে।