২ ঘণ্টা বাড়তি সময় চাইলেন ব্যবসায়ীরা
Published : Monday, 20 June, 2022 at 12:00 AM
সোমবার (২০ জুন) থেকে রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে সব ধরনের বিপণি বিতান, শপিংমল ও দোকানপাট। ২০০৬ সালের শ্রম আইন এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ঈদুল আজহার কেনাকাটার সুবিধার্থে ১ থেকে ১০ জুলাই রাত ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা বাড়তি সময় চেয়েছেন। এই দুই ঘণ্টার জন্য সিদ্ধান্তটি শিথিল রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। তবে এ বিষয়ে বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
রবিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে রাত ৮টায় দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। এ সময় এফবিসিসিআই, দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী জানিয়েছেন, আমরা তাদের এই প্রস্তাবের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত দেইনি। কারণ, বিদ্যমান আইন এটি কভার করে না। এ কারণে আমরা তাদের প্রস্তাবটি সামারি আকারে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠাবো। বাকি সিদ্ধান্ত সেখান থেকেই আসবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কোরবানির বাজার ধরার জন্য দুই ঘণ্টা, অর্থাৎ রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়তি সময় চেয়েছিলাম। আমাদের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পিএম দফতরে পাঠানো হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
জানা গেছে, বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১ থেকে ১০ জুলাই রাত ১০টা পর্যন্ত এ নিয়ম শিথিল করার অনুরোধ আসে। তবে প্রস্তাবনাটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেলে পরে জানানো হবে।
তবে হাসপাতাল, রেল স্টেশন, বাস স্টেশন, বিমানবন্দর, হোটেল, সেলুন, ওষুধের দোকান, সিনেমা, থিয়েটার, ক্লাব, মিষ্টি ও ফুলের দোকান, ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস অফিসসহ অন্যান্য জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এ নিয়মের বাইরে থাকবে।
এর আগে, গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের সই করা চিঠিতে রাত ৮টার পর সারা দেশে দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণি বিতান, কাঁচাবাজার খোলা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশনা দিয়েছেন।