রাত ৮টার পর থেকে দোকান-মার্কেট বন্ধ
Published : Monday, 20 June, 2022 at 12:00 AM, Update: 20.06.2022 1:43:56 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক :সোমবার (২০ জুন ) থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর
সারাদেশে দোকান, বিপণিবিতান, মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ মোতাবেক
রবিবার (১৯ জুন) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান
প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি
করপোরেশন, এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, বিজিএমইএ,
বিকেএমইএ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, ঢাকা চেম্বারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী
মালিক সংগঠন এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, শিল্প
মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে অনুশাসন, নির্দেশনা দিয়েছেন, এটা
আমাদের আইনেও আছে। এটার প্রতিপালন আগামীকাল থেকেই শুরু হবে। উনারা
(ব্যবসায়ী প্রতিনিধি) একটা দাবির কথা বলেছেন। আগামী ১০ জুলাই কোরবানি ঈদ, এ
জন্য ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন।
এই প্রস্তাব আমরা সামারি আকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেব।’
সাংবাদিকদের
এক প্রশ্নের উত্তরে সচিব মো. এহছানে এলাহী বলেন, আইনে যেসব প্রতিষ্ঠান
নির্দেশনার বাইরে থাকবে বলা হয়েছে, তার বাইরে সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকবে।
সে ক্ষেত্রে মুদি দোকানও রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে।’
রাত ৮টার খোলা রাখা যাবে যেসব প্রতিষ্ঠান:
-ডক, জেটি, স্টেশন অথনা বিমানবন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস
-তরি-তরকারি, মাংস, মাছ, দুগ্ধজাতীয় সামগ্রী, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান
-ওষুধ, অপারেশন সরাঞ্জাম, ব্যান্ডেজ অথবা চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান
-দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান
-তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান এবং দোকানে বসে খাওয়ার (হালকা) নাশতা বিক্রির খুচরা দোকান
-খুচরা, পেট্রোল বিক্রির জন্য পেট্রোল পাম্প এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটর গাড়ির সার্ভিস স্টেশন
-নাপিত এবং কেশ প্রসাধনীর দোকান
-যে কোনো ময়লা নিষ্কাশন অথবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
-যে কোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান যা জনগণকে শক্তি আলো-অথবা পানি সরবরাহ করে
-ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবার দোকান, সিনেমা অথবা থিয়েটার।
উল্লেখ্য,
এর আগে গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো.
আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের সই করা চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির
অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের
নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশনা
দিয়েছেন।