ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিপক্ষেই কথাবার্তা বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেছেন, অনেকে পক্ষে বলেছেন, অনেকেই সরাসরি বলেছেন— ইভিএমে নির্বাচনে যাব না।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) ইভিএম নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব নিই, কিছুদিন পর থেকেই ইভিএম নিয়ে কথাবার্তা পত্রপত্রিকায় চাউর হয়। এর বিপক্ষেই বেশি কথাবার্তা হয়েছে। আমাদের শুরু থেকেই ইভিএম সম্পর্কে সেরকম ধারণা ছিল না। আমাদের ব্যক্তিগত ধারণাও ছিল না। আমরা ইতোমধ্যেই ইভিএম নিয়ে অনেক কাজ করেছি। এখন আমাদের মোটামুটি ধারণা আছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা দুটি সংলাপ করেছি। অনেকেই কিন্তু ইভিএমের পক্ষে বলেছেন। অনেকে সল্যুউশন দিয়ে বলেছেন, আরও উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে যদি ইভিএম ক্রয় করা যায় তাহলে আরও ভালো হয়। আবার অনেকে সরাসারি বলেছেন— আমরা ইভিএমে নির্বাচনে যাব না। আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করবো সেটা আমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আজকে বড় বড় দলের অনেকেই এসেছেন। মাননীয় মন্ত্রীও (ওবায়দুল কাদের) এসেছেন, যেটা আমি প্রত্যাশাও করিনি। আপনি এসেছেন, আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। আজকে আমাদের আলোচনা ইভিএমেরই মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আপনারা ইভিএমের পক্ষে-বিপক্ষে বলতে পারেন। আমরা আপনাদের কথাগুলো শুনবো। আমরা আপনাদের আলোচনা শুনে পরে আমরা বস্তুনিষ্ঠ সিদ্ধান্তে উপনীত হবো। ’
মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় ও শেষ দফায় ইভিএম নিয়ে ১৩ রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। আমন্ত্রণ জানানো দলগুলো হলো—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট। এছাড়া প্রথম ধাপের বৈঠকে গণফোরাম উপস্থিত হতে না পারায় সময় চাইলে ইসি দলটিকেও আসার সময় দেয়।
এই দলগুলোর মধ্যে নয়টি দল বৈঠকে অংশ নিয়েছে। এর আগে ১৯ জুনের বৈঠকে দুটি দল এবং ২১ জুনের বৈঠকে বিএনপিসহ পাঁচটি দল ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।