`
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে দুই আবাহনীর ম্যাচটি ছিল অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী দুই বার লিড নিয়েও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিততে পারেনি। ঢাকা আবাহনী ৩-২ গোলে মারুফের চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনী পোপালজের গোলে লিড নেয়। দুই মিনিট ঢাকা আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডোরিয়েল্টন ম্যাচে সমতা আনেন। কোস্টারিকান ফুটবলার ড্যানিয়েলের ফ্রি কিক থেকে বক্সের মধ্যে হেডে গোল করেন এই ব্রাজিলিয়ান। বিরতির আগে লিড নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরে চট্টগ্রাম আবাহনী। ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পিটার থ্যাঙ্কগড আবার লিড এনে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ঢাকা আবাহনী ম্যাচে সমতা আনার চেষ্টা করে। ৫৭ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনী দশ জনের দলে পরিণত হয়। দশ জন হওয়ার পর ঢাকা আবাহনী আরো বেশি আক্রমণ করে। চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক কয়েকটি দুর্দান্ত সেভ করেন। ৭১ মিনিটে আর রক্ষা করতে পারেননি। ড্যানিয়েলের বা প্রান্ত থেকে করা কর্ণারে লাফিয়ে হেড করে নিজের জোড়া গোল ও ম্যাচে সমতা আনেন ডোরিয়েল্টন।
সাত মিনিট পর আরেকটি গোল পায় সফরকারী ঢাকা আবাহনী। এই গোলটি অনেকটা সৌভাগ্যপ্রসূত। বাঁ প্রান্ত থেকে নুরুল নাইম ফয়সাল বক্সের মাঝে একটি ক্রস করেন। সেই ক্রসের শুরুতে চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে গতিপথ পরিবর্তন হয়। ফলে গোলরক্ষক বিভ্রান্তিতে পড়েন এবং বল জালে জড়ায়।
ম্যাচের বাকি সময় চট্টগ্রাম আবাহনী দশ জন নিয়ে ম্যাচে সমতা আনার চেষ্টা করেছে। আবাহনী ভালো রক্ষণ করায় আর সম্ভব হয়নি। ফলে দুই বার লিড নিয়েও মারুফের দলকে হারের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। এই জয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ঢাকা আবাহনী ১৭ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। বসুন্ধরা কিংসের সাথে ব্যবধান ছয়ই থাকছে আবাহনীর। অন্য দিকে চট্টগ্রাম আবাহনী সমান ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে।