নিজস্ব
প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি বলেছেন, আপনারা জানেন আমরা
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করে
উন্নয়ন বরাদ্দ দিয়েছি। যা একনেকে পাশ হয়েছে। যার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু
হয়েছে। বরাদ্দের সময় অন্য দলের মেয়র ছিলো, আমরা কিন্তু সেটা দেখিনি- বরাদ্দ
দিয়েছি। আমরা কুমিল্লার মানুষের উন্নয়ন দেখেই বরাদ্দ দিয়েছি। আমি কুমিল্লা
সিটি কর্পোরেশন করে দিয়েছি; এর উন্নয়নে বেশি বরাদ্দও আমি দিয়েছি। নব
নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের এখন এটাই মাথায় নিয়ে কুমিল্লার উন্নয়নের
জন্য কাজ করতে হবে। তিনি গতকাল রাজধানী ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণ ভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা
বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লা সিটির নব নির্বাচিত
মেয়র আরফানুল হক রিফাতকে শপথ পাঠ করান। এর পরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন
ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি নবনির্বাচিত সাধারণ ওয়ার্ড ও
সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের শপথ পাঠ করান। এসময় মঞ্চে উপস্থিত
ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য
এমপি এবং সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের
মেয়র-কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কুমিল্লা থেকে অন্যান্যের মধ্যে
উপস্থিত ছিলেন চান্দিনা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত,
সংরক্ষিত আসনের এমপি আ্যরোমা দত্ত, কুমিল্লা সদর সংসদ সদস্য আলহাজ¦ আ ক ম
বাহাউদ্দিন বাহারের স্ত্রী নারী নেত্রী মেহেরুন্নেছা বাহার, কুমিল্লা জেলা
পরিষদের প্রশাসক মোঃ আবু তাহের, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান,
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ড. শফিকুর ইসলাম, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ, নারী নেত্রী পাঁপড়ি বসু, বীর মুক্তিযোদ্ধা
আহসান হাবীব পাখি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিুনুল ইসলাম টুটুল, মহানগর
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্যাহ খোকন, মহানগর যুব লীগের
আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদসহ রাজনৈতিক, সমাজিক ও ব্যবসায়িক
নেতৃবৃন্দ।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচন
চমৎকার প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন ইতিহাসে এটি দৃষ্টান্ত
তৈরী করেছে। এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আমরা দেখিনি। সাধারণ নগরবাসীর
উন্নয়নের মেয়র ও কাউন্সিলরদের প্রতি তিনি আরো বলেন, যারা ভোট দিয়েছে বা দেয়
নাই সে বিচার নয় প্রতিটি মানুষের যেন আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়, সকল
এলাকার যেন উন্নয়ণ হয় সে দিকে কাউন্সিলরদের খেয়াল রাখতে হবে। মেয়রকে উন্নয়ন
পরিকল্পনা করতে হবে কিন্তু কমিশনের চিন্তা করা যাবে না। মানুষ কতটা লাভবান
হবে, রাষ্ট্র কতটা ফেরত পাবে সেটা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। সততার সাথে
যদি কাজ করেন আর মানুষ যদি এর সুফল ভোগ করতে পারেন তাহলে মানুষ আপনাকে ভোট
দিবেন। মানুষের বিশ্বাস এবং আস্থা যেন অটুট রাখতে পারেন নব নির্বাচিত মেয়র
এবং কাউন্সিলরগণ যেন এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন,
আমাদের লক্ষ্য দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। শুধু সিটি করপোরেশন নয়
যদি ইউনিয়ন পর্যায়েও কেউ গৃহহীন থাকে আমাকে জানাবেন, আমি ঘর করে দিবো।
প্রত্যেকটি গ্রামের মানুষকে শহরের নাগরিক সুবিধা দিতে চাই।
করোনা
স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা সংক্রমন
বাড়ছে। যারা এখনো বুষ্টার ডোজ করোনা টিকা নেন নি তারা শীঘ্রই নিয়ে নিন।
বাংলাদেশে সাধারণ মানুষকে সরকার বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে, অথচ অনেক দেশে
টিকা কিনে নিতে হচ্ছে। বিত্তশালীদেও বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান
জানান প্রধানমন্ত্রী।
বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ার ২০ দিন পর মেয়র ও
কাউন্সিলররা শপথ নিলেন। এর আগে ২১ জুন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করে
গেজেট প্রকাশ করা হয়।