পদ্মা সেতুতে স্পিড গান ও সিসিটিভি স্থাপনের পরই মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেবে সরকার। তবে এ কাজ যদি আগামীকালও সম্পন্ন হয়, তবু ১৩ জুলাই পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের সুযোগ নেই। কারণ, ঈদের আগে ও পরের সাত দিন অর্থাৎ ১৩ জুলাই পর্যন্ত এক জেলার মোটরসাইকেল অন্য জেলায় চলাচল করতে পারবে না।
রবিবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে পরিপত্র জারির পরই জানা যাবে নির্দিষ্ট তারিখ।
জানা গেছে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ২৭ জুন সোমবার ভোর ৬টা থেকে এ নিষেধাজ্ঞা চালু আছে।
সেতুতে যান চলাচলের প্রথম দিনেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন মারাও গেছেন। এর পরেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আদেশ জারি করে সেতু বিভাগ।
এ বিষয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সেতুতে স্পিড গান ও সিসিটিভি স্থাপনের পর মোটরসাইকেলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ২৮ জুন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সকল দফতরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ওই সময় প্রতিমন্ত্রী কোনও দিনক্ষণের কথা জানাননি। আবার কবে নাগাদ পদ্মা সেতুতে সিসিটিভি ও স্পিড গান বসবে সে বিষয়ে সরকারি কোনও মহলই কোনও পূর্বাভাস দেয়নি। শুধু জানানো হয়েছে সেতুতে এসব বসানোর কাজ চলছে।
গত ৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামও জানিয়েছেন, ‘পদ্মা সেতুতে স্পিডগান ও সিসিটিভি বসানোর কাজ চলছে। এগুলো বাসানোর কাজ শেষ হলেই সরকার মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মা সেতুতে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার ক্যামেরা বসবে, স্পিড গানও বসানো হচ্ছে। এগুলো বসলে তারপর উনারা সিদ্ধান্ত নেবেন, কী করা যায়।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আমান উল্লাহ নুরী জানিয়েছেন, যৌক্তিক কারণ ছাড়া ঈদের সাত দিন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল করবে না। এ সময়ে দেশের কোনও মহাসড়কে রাইড শেয়ারিংও করা যাবে না। জরুরি কারণে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে হলে পুলিশকে জানাতে হবে। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে পরিপত্র জারি হবে।
এ বিষয়ে উৎসমুখে কড়া নজরদারি বাড়াতে এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশকে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সচিব।