‘রাত ১০টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে হবে’
Published : Friday, 8 July, 2022 at 12:00 AM
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন রাত ১০টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে জাইকার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইউহো হায়াকাওয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের দিন সকালে পশু কোরবানি দেওয়া শুরু হবে। এরপর থেকেই পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজ শুরু হবে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে সব জায়গা থেকে বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।’ রাত ১০টার পর কোথাও বর্জ্য থাকবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা হয়েছে। সভায় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের যে দায়িত্ব সেটি পালনের জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট এবং ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন তৈরি করা আছে। সেটা অনুযায়ী, তারা পশুর হাট বসাবে। হাটে কেনাবেচার জন্য যারা আসবেন, তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’ রাস্তার পাশে কোথাও হাট বসবে না বলেও জানান মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার একটা নির্দেশনা আগে থেকেই ছিল— প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ১০ জনের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা। এই কমিটি করোনাসহ যেকোনও দুর্যোগে কাজ করবে। সিটি করপোরেশনগুলো সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে, বলে আমাদের জানিয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে দেশ ডিজিটালে রূপান্তরি হয়েছে। এর সুফল হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিটি করপোরেশন ঈদ উপলক্ষে জয়েন্টলি একটা প্রোগ্রাম চালু করেছে, তা হলো— ক্যাশ টাকা ছাড়াই পশু ক্রয়-বিক্রয়। হাটে কেউ ক্যাশ টাকা না নিলেও হবে, যদি তার কাছে ক্রেডিট কার্ড থাকে। অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলে সেই টাকা বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে।
বৈঠক প্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম ওয়াসার সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে মহেশখালীসহ অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ তৈরিতে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাইকা। মাতারবাড়িতে দুইটি প্রকল্প প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ করার প্রস্তাবনা দিয়েছে তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে জাইকার প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, জাইকা বাংলাদেশের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।