হোমনায় নেশার টাকা না পেয়ে বাবা-মাকে মারধরের অভিযোগ ২ বখাটের জেল
Published : Friday, 8 July, 2022 at 12:00 AM
হোমনা প্রতিনিধি: কুমিল্লার হোমনায় সন্তানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নেশার টাকার জন্য বাবা-মাকে শারিরিক নির্যাতন ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ করেন দুই পিতা-মাতা। অভিযোগকারী ভুক্তভোগীদের একজন বয়ষ্ক মুক্তিযোদ্ধা অন্যজন ব্যবসায়ী। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার বিকেলে তথ্য উদঘাটনে উপজেলার কাশিপুর ও শ্রীপুর কৃষ্ণপুর গ্রামে যান। সেখানে এদের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগের সত্যতা মেলে। এসময় তাদের ব্যবহৃত গাঁজা সেবনের সরঞ্জামাদিও উদ্ধার করা হয়।
পরে উপস্থিত লোকজনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দুই যুবককে জেল জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন কাশিপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেনের ছেলে মো. সোহাগ (২৪) ও শ্রীপুর কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. হোসাইন (১৯)। এতে মো. সোহাগকে ৬ মাস ও হোসাইনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারদণ্ডসহ উভয়কে নগদ দুইশ টাকা করে জরিমানা করে গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে বুধবার বিকেলে তাদের নিজ নিজ গ্রামে তথ্য উদঘাটনের মাধ্যমে গাঁজা সেবনের অপরাধে এই আদেশ দেন। এসময় তাদের ব্যবহৃত গাঁজা সেবনের সরঞ্জামাদিও উদ্ধার হয়।
সোহাগের পিতা মুক্তিযোদ্ধা আ. বাতেন এবং হোসাইনের পিতা কবির হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে অভিযোগ করে বলেন, মাদকাসক্ত সন্তানের অত্যাচারে তারা অতিষ্ট হয়ে গেছেন। নেশার টাকা না পেলেই তাদের মারধর করেন। মাদকাসক্ত এমন বখাটে সন্তানদের জন্য সমাজে তারা মুখ দেখাতে পারছেন না। সাজাপ্রাপ্তরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনেও মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে বলেন, তাদের বাবা-মায়ের অভিযোগ ছিল- সন্তান নেশার টাকা না পেয়ে প্রায়ই তাদের মারধর করতেন। পরে তথ্য উদঘাটনের জন্য তাদের নিজ নিজ গ্রামে গিয়ে লোকজনে সঙ্গে কথা বলেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। তখন ভ্রাম্যামাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের ৬ মাস ও ৩ মাস করে জেল এবং দুইশ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।