জাতীয়
সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী
মিয়ার মরদেহ ঢাকা থেকে তার জন্মস্থান গাইবান্ধার সাঘাটায় এসে পৌঁছেছে।
সোমবার
(২৫ জুলাই) দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে উপজেলার বোনারপাড়া কাজী আজাহার আলী উচ্চ
বিদ্যালয় মাঠে মরদেহবাহী সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে।
এরপর
সর্বসাধারণে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হবে ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয়
মাঠে। সেখানে বিকেল ৩টায় তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নিজ বাড়ি গটিয়া
গ্রামে নেওয়া হবে।
সেখানে বিকেল সাড়ে ৫টায় শেষ জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
ফজলে
রাব্বী মিয়ার ছোট ভাই মো. ফরহাদ রাব্বী ও মেয়ে ফাজানা রাব্বী বুবলি জানান,
জানাজা নামাজ ও কবর খননসহ দাফনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার
সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মা ও দুই ছেলের কবরের
পাশে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে, গত শুক্রবার দিনগত রাত ২টার দিকে আমেরিকার মাইন্ট সাইন হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন ফজলে রাব্বী মিয়া।
এর
আগে সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফজলে রাব্বী মিয়ার
মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছায়। তার প্রথম জানাজা সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয়
ঈদগাহ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত ৯ মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
১৯৪৬
সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামের বাড়িতে
জন্মগ্রহণ করেন ফজলে রাব্বী মিয়া। পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বী মিয়া
গাইবান্ধা-৫ আসনের টানা সাতবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি জাতীয়
সংসদের পরপর দুইবারের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে,
বর্ষীয়ান এ নেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গাইবান্ধা জেলা-উপজেলার
আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার
মানুষের মধ্যে।