নাসুম-মেহেদির
ঘূর্ণিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই দু’জনের ফস্কা গেরোয়
লাগাম ছুটেও যায়। ব্যাটে নেমে টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়। মিডলে
শান্ত-মাহমুদউল্লাহ কচ্ছপ গতিতে ব্যাটিং করেন। ওই ক্ষতি লোয়ার অর্ডারে
পুষিয়ে উঠতে পারেননি আফিফ-মেহেদি। তিন ম্যাচের শেষটিতে ১০ রানে হেরে
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষ টি-২০ সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবেছে বাংলাদেশ।
হারারে
স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচেও টস হারে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে
ভালো করে শুরু করে জিম্বাবুয়ে। ৩ ওভারে তুলে ফেলে ২৯ রান। এরপর নাসুম
ব্রেক থ্রু দেন। পরেই জোড়া উইকেট নেন শেখ মেহেদি। স্পিনার মোসাদ্দেক ও
মাহমুদউল্লাহ স্বাগতিক শিবিরে ধাক্কা দিলে ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিও দাঁড়ায়নি তাদের।
প্রথম ম্যাচে ১৭ রানের জয় পাওয়া
জিম্বাবুয়ে তখন একশ’র মধ্যে অলআউট হওয়ার শঙ্কায়। ওই সময় বিস্ফোরক ব্যাটিং
করেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটার রায়ান বার্ল। তিনি ২৮ বলে ১৯২ স্ট্রাইক রেটে
করেন ৫৪ রান। এর মধ্যে নাসুম আহমেদের করা ১৫তম ওভার থেকে তুলে নেন ৩৪ রান।
বাঁ-হাতি
ব্যাটার নাসুম তার দ্বিতীয় ওভার বল হাতে নিয়ে পরপর চারটি ছক্কা খান। পঞ্চম
বলে চার খাওয়ার পরে শেষ বলেও ওভার বাউন্ডারি খান। টি-২০ ইতিহাসে যৌথভাবে
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান দেওয়ার বাজে রেকর্ড গড়েন। অষ্টম অর্ডারে ব্যাট করতে
নামা লুক জনজি খেলেন দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস। তিনি ২০
বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। এছাড়া ওপেনার রেগিস চাকাভা ১৭ ও ক্রেগ
আরভিন ২৪ রান যোগ করেন।
জবাব দিতে নেমে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান টপ অর্ডারের
তিন ব্যাটার। শুরুর দুই ম্যাচে রান পাওয়া লিটন দাস ৬ বলে ১৩ করে আউট হন।
অভিষেক ম্যাচ খেলা ওপেনার পারভেজ ইমন মাত্র ২ রান যোগ করেন। দীর্ঘদিন পরে
দলে ফেরা এনামুল হক ১৩ বলে দুই চারে করেন ১৪ রান।
দ্রুত উইকেট হারানোর
চাপ সামাল দিতে এসে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করেন নাজমুল শান্ত এবং
মাহমুদউল্লাহ। চারে নামা শান্ত ফিরে যান ২০ বলে ১৬ রান করে। কোন বাউন্ডারি
মারতে পারেননি তিনি। নুরুল হাসান সোহানের জায়গায় এক ম্যাচে সুযোগ পাওয়া
মাহমুদউল্লাহ করেন ২৭ বলে এক চারে ২৭ রান। কেন তার সময় শেষ ব্যাট হাতেই যেন
আরেকবার প্রমাণ দিলেন তিনি।
শান্ত-মাহমুদউল্লাহর ম্যাচ হত্যা করা
ইনিংসের পরও আশা দেখাচ্ছিলেন আফিফ হোসেন এবং শেখ মেহেদি। কিন্তু হারারের
ধীর ও নিচু হয়ে ওঠা উইকেটে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করতে পারেননি তারা।
শেখ মেহেদি ফিরে যান ১৭ বলে এক ছক্কা ও দুই চারে ২২ রান করে। আফিফ হোসেন ২৭
বলে তিন চারে ৩৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। কিন্তু তা জয়ের জন্য
যথেষ্ট ছিল না।
বাংলাদেশ দলের হয়ে এই ম্যাচে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২২ করে
রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক ও মুস্তাফিজুর রহমান। শেখ মেহেদি ও
হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ২৮ করে রান দিয়ে নেন দুটি করে উইকেট। মাহমুদউল্লাহ ২
ওভারে দেন ৮ রান। উইকেট নেন একটি। নাসুম আহমেদ ২ ওভারে ৪০ রান হজম করেন।
বিনিময়ে এক উইকেট তুলে নেন। জিম্বাবুয়ের ভিক্টর নায়োচি ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে
নেন ৩ উইকেট। অন্য পেসার ব্রাড ইভান্স নেন দুই উইকেট। সিকান্দার রাজা, শন
উইলিয়ামস ও লুক জনজি একটি করে উইকেট নেন।