![‘উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে’ ‘উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে’](https://comillarkagoj.com:443/2022/08/02/1659463552.jpg)
নিজস্ব
প্রতিবেদক : নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে দেশ উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রায় রয়েছে,
তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন,
“অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আমরা একটা জায়গায় আসতে পেরেছি। এই ধারাটা
যেন অব্যাহত থাকে। হয়ত চিরদিন আমিও থাকব না, কিন্তু বাংলাদেশের এই উন্নয়নের
অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয়, সেটাই আমি চাই। আমরা যেন এগিয়ে যেতে থাকি।”
মঙ্গলবার একনেক সভায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই সভায় যুক্ত হন তিনি।
বক্তব্যে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন,স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ গঠনে জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেয়া নানাও পদক্ষেপের কথা তুলে ধরার
পাশপাশি ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করার কথাও বলেন শেখ
হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন,
“আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, সবই বিকৃত করা হল।
বাংলাদেশে আবার নেমে এল একটা স্থবিরতা। অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা
দখল এদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন করেনি।”
বাবা-মাসহ সব স্বজনকে
হারানোর বেদনা নিয়ে চলা শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের প্রতি যে অবিচার করা
হয়েছিল, যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল, আমি জানি না, সেটা বোধহয় কেউ আর
স্মরণ করে না।
“আমার চোখের সামনে দেখেছি, সেই খুনিদের জনগণের ভোট চুরি
করে খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে বসিয়েছে। জিয়াউর রহমান তাদেরকে বিভিন্ন
দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। এরশাদ তাদেরকে রাজনৈতিক দল করে
রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়া সুযোগ করে দিয়েছে।”
এর মধ্যেই দেশের জন্য কাজ
করে যাওয়ার কথা তুলে তিনি বলেন, “এই রকম অন্যায়-অবিচার দেখে সব কিছু সহ্য
করে, ধৈর্য ধরে জনগণের উপর আস্থা-বিশ্বাস রেখে ৃ কারণ আমার আর কোনো সম্পদ
ছিল না। একটাই ছিল জনগণ, সেটাকে মূলধন করেই কিন্তু আমি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা
করেছি।”
বাবাকে দেখে মানুষের জন্য কাজ করার প্রেরণা পাওয়ার কথা জানিয়ে
শেখ হাসিনা বলেন, “আমারও সেই প্রচেষ্টা। খুব সাধারণভাবে জীবনযাপন করা,
কিন্তু দেশের জন্য কাজ করা। আমি সেটাই অনুসরণ করার চেষ্টা করি।”
বঙ্গবন্ধু
হত্যার পর ২১ বছর দেশ ‘অন্ধকারে’ ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, “মানুষের
কোনো ধরনের অধিকারই ছিল না। ক্ষমতা তো ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিল। আমরাই
সংগ্রাম করে, আন্দোলন করে জনতার ক্ষমতা জনতার হাতে ফিরিয়ে দিই।
“আওয়ামী
লীগ যেহেতু জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন এবং তারই আদর্শের সংগঠন, তাই যখনই
ক্ষমতায় এসেছি, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনেই আমরা কাজ করেছি। কাজ করে
যতটুকু অর্জন, আমি মনে করি, এটা জনগণেরই অবদান।”
দেশকে সামনে এগিয়ে
যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করে কাজ করছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের ভোটে
নির্বাচিত হয়ে সরকারে এসেছি, তাই জনগণের আস্থা, বিশ্বাস আমাদের উপর যেমন
রয়েছে, আমাদেরও জনগণের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস রয়েছে। যে কারণে আমরা কাজ করতে
পেরেছি এবং আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।”