কানাডার টরন্টোতে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন মেধাবী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শওকত। সম্প্রতি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন তিনি। এদিকে তার দেশে ফেরার অপেক্ষা করছিল পরিবার। তবে মুমূর্ষু শওকতকে আনতে রাজি হয়নি মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি এয়ারলাইন্স। অবশেষে আইসিইউ থেকে স্ট্রেচারসহ তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে আনলো রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বুধবার রাতে টরন্টো থেকে বিজি-৩০৬ ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরেন শওকত। সঙ্গে ছিলেন তার বাবা। গোটা ফ্লাইটে স্ট্রেচারে শুয়ে ছিলেন শওকত।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, মেধাবী ছাত্র মোহাম্মদ শওকত উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে ২০১৯ সালে কানাডার টরন্টো শহরের নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ২০২১ সালে তিনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। বন্ধুরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে আইসিইউতে দীর্ঘ চিকিৎসা চলে। ছেলেকে দেশে ফেরাতে গত জুলাইয়ে কানাডা যান শওকতের বাবা। তবে ছেলেকে দেশে ফেরাতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক তিনটি এয়ারলাইন্সকে অনুরোধ করলেও তারা আইসিইউর রোগীকে বাংলাদেশে আনতে রাজি হয়নি।
পরে ছেলেকে রেখেই দেশে ফিরে আসেন শওকতের বাবা। তবে ২৭ জুন বিমানের টরন্টো ফ্লাইট চালুর পর তিনি আবার কানাডা যান। সেখান থেকে ছেলেকে স্ট্রেচারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের এমন মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপনের বিষয়ে বিমান শ্রমিক লীগের সভাপতি মশিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিমান শুধু লাভের জন্য ব্যবসা করে না। বিমান মানবতা বিবেচনা করে, জাতীয় দায়িত্ব পালন করে। অসহায় শিক্ষার্থী শওকতের পাশে দাঁড়িয়ে সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এ প্রতিষ্ঠান।