দেড়শ আন্তর্জাতিক ম্যাচ পেয়ে আনন্দের সঙ্গে উদ্বেগ
Published : Thursday, 18 August, 2022 at 12:00 AM
দেশে
বিদেশে একের পর এক সিরিজ খেলতে ব্যস্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এক সিরিজ
শেষ না হতেই ব্যাগ গোছাতে হয় আরেক সিরিজের জন্য। টানা খেলার সঙ্গে আছে
ভ্রমণ ক্লান্তি। পাশাপাশি ইনজুরি, চোটের ভয় তো থাকেই। ক্রিকেটারদের
ব্যক্তিগত জীবনেও এর প্রভাব পড়া স্বাভাবিক।
সামনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের
জন্যও অপেক্ষা করছে খুবই ব্যস্ত সূচি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)
২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) চূড়ান্ত
করেছে। এই চার বছরের চক্রে বাংলাদেশ ২৭ সিরিজ খেলবে। যেখানে ম্যাচ আছে ৩৪
টেস্ট, ৫৯ ওয়ানডে ও ৫৭ টি-টোয়েন্টি। ২০২৩ সালের মে মাসে শুরু হতে যাওয়া এই
চক্রে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে সবচেয়ে বেশি দেড়শ ম?্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
এতে
দারুণ খুশি বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী, ‘২০২৩-২০২৭
এফটিপি বাংলাদেশের জন্য ভালো সুখবর এনেছে। আমরা সবগুলো দলের বিপক্ষে ভালো
পরিমাণে ম্যাচ পেয়েছি। বিসিবি সব সময়ই বিশ্বাস করে, এফটিপি হচ্ছে
আন্তর্জাতিক দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে ম্যাচ ভাগাভাগি করার প্রক্রিয়া। আমরা
নতুন এফটিপিতে বেশি ম্যাচ পাওয়ায় খুশি। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই চেয়েছিলাম বড়
দলগুলো বিপক্ষে আমরা যেন নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই। এবার সেটা হয়েছে।
এতে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক উন্নতির দুয়ার খুলে গেছে।’
দ্বি-পক্ষীয়
সিরিজের বাইরে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট, মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা এবং
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট তো রয়েছেই। সঙ্গে সুযোগ পেলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার
উন্মুক্ত দুয়ার তো খোলাই। এফটিপিতে ম্যাচের সংখ্যা বাড়ায় নীতিনির্ধারকদের
মুখে হাসি থাকলেও ক্রিকেটারদের কথা ভেবে কিছুটা শঙ্কাও বিরাজ করছে। আগে
কখনোই এত ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। তাই সামনের চার বছরে কঠিন সময় পার করতে
হবে মিরাজ, লিটন, সোহানদের। পারবেন তো তারা?
গত মাসে আইসিসির বোর্ড সভায়
এফটিপি চূড়ান্ত হয়। আইসিসির বোর্ড সভা ও নিজের ব্যক্তিগত কাজ সেরে ৩১
জুলাই দেশে ফিরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এফটিপি
নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সঙ্গে নিজের শঙ্কার কথাও জানান এভাবে,‘এফটিপি
যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যে পরিমাণে খেলা আছে, আমার মনে হয় এখন আমাদের
দুঃশ্চিন্তার বিষয় খেলবো কীভাবে? এত ম্যাচ খেলা আসলেও কঠিন। এত বেশি ম?্যাচ
খেলবো কীভাবে?’
তবে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন অতদূর ভাবছেন না।
তার ভাবনা, ‘চার বছরে কি হবে, কি হবে না এসব নিয়ে না ভেবে আগামী এক বছরে
আমরা কতোগুলো ম্যাচ খেলবো, কাদের নিয়ে খেলবো, কিভাবে খেলবো, কোথায় খেলবো
এসব নিয়ে চিন্তা করা উচিত। সেভাবেই পরিকল্পনা করা উচিত। এফটিপিতে ম্যাচ
বেড়েছে এটা অবশ্যই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো খবর। ছেলেরা ম্যাচ খেলার
বেশি সুযোগ পাবে। কিন্তু এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমাদের হাতে
পর্যাপ্ত সময় আছে। আমাদের দীর্ঘ পরিকল্পনার পরিবর্তে ছোট ছোট লক্ষ্য তৈরি
করে আগানো উচিত হবে।’
বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২১ ম?্যাচ খেলবে
আয়ারল?্যান্ডের বিপক্ষে। ২ টেস্টের সঙ্গে আছে ৯ ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্টি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ টেস্টের পাশে ৮টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি রয়েছে।
দেশের মাটিতে বাংলাদেশের ম্যাচ ৭৬টি, বাইরে ৭৪টি।