ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
পার্কে ঈগল গ্রুপ ও রতন গ্রুপের দ্বন্ধে শাহাদাত হত্যা: র‌্যাব
তানভীর দিপু
Published : Sunday, 21 August, 2022 at 2:41 PM, Update: 21.08.2022 2:44:56 PM
পার্কে ঈগল গ্রুপ ও রতন গ্রুপের দ্বন্ধে শাহাদাত হত্যা: র‌্যাব কুমিল্লা পার্ক রোডে কিশোরগ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে প্রকাশ্যে খুনে সরাসরি জড়িত রতন গ্রুপের প্রধান রতনসহ আরো ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। হত্যাকা-ণ্ডের পর থেকেই বিভিন্ন সময় অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অন্য আসামিরা হলো- রতন গ্যাং সদস্য- আকাশ, সিয়াম, তানজিদ, ইয়াসিন, আসিফ।  র‌্যাব কুমিল্লা সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন রবিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২টি সুইচ গিয়ার, ৪টি বড় ছোড়া এবং ১টি এন্টিকাটার উদ্ধার করা হয়েছে।
র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, নিহত ভিকটিম শাহাদাৎ হোসেন (১৭) ঈগল গ্রুপ এর সদস্য। 'ঈগল গ্রুপ' এর সদস্যরা গত ০৬-০৭ মাস আগে 'রতন গ্রুপ' এর একজন সদস্যকে মারধোর করে। উক্ত মাটনার জের ধরে উভয় গ্রুপে মধ্যে শত্রুতা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য, 'রতন গ্রুপ' এর সদস্যরা ০২ নং ওয়ার্ড এলাকায় এবং 'ঈগল গ্রুপ ' এর সদস্যরা ০৪ ও ০৫ নং ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থান করে। উক্ত ০২ ও ০৪,০৫ নং ওয়ার্ড মাঝখানে "ধর্মসাগর পার্ক' অবস্থিত যা ১০ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যখনই 'রতন গ্রুপ' এর সদস্যরা ঐ পার্কে যায় তখনই 'ঈগল গ্রুপ' এর সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া দেয়, একইভাবে ‘ঈগল গ্রুপ' এর সদস্যরা ঐ পার্কে গেলে 'রতন গ্রুপ' এর সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া দেয়। ঘটনার দিন গত ১৯আগষ্ট  বিকাল ৪টার সময় "ঈগল গ্রুপ' এর সদস্যরা 'রতন গ্রুপ' এর সদস্য তানজীদের পরিচিত এক ছোট ভাইকে মারধোর করে আহত করে। পার্কে ঈগল গ্রুপ ও রতন গ্রুপের দ্বন্ধে শাহাদাত হত্যা: র‌্যাব ফলস্বরূপ 'রতন গ্রুপ' এর সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেয়, ‘ঈগল গ্রুপ' এর সদস্যদের যেখানেই পাবে সেখানেই প্রতিহত করবে। এমন সময় 'রতন গ্রুপ' এর সদস্য তানজীদ এসে উপস্থিত অন্যান্য সদস্যদেরকে ‘ঈগল গ্রুপ’ এর সদস্যরা পার্কে অবস্থান করছে মর্মে তথ্য প্রদান করে। পরবর্তীতে, রতনের নেতৃত্বে 'রতন গ্রুপ' এর অন্যান্য সদস্যরা ফৌজদারী মফিজাবাদ কলোনী মাঠে একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ‘ঈগল গ্রুপ' এর সদস্যদের আওয়ার লেডি অব ফাতেমা স্কুল এর সামনে ধাওয়া করে। ধাওয়ার এক পর্যায়ে ভিকটিম শাহাদাৎ দৌড়ে পালাতে না পারলে রাব্বিল তাকে ধরে ফেলে ও তাৎক্ষণিক গ্রুপের অন্যান্য সদস্যরা শাহাদাৎ কে কিল-ঘুষি, লাথি ও এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে, স্থানীয় লোকজন শাহাদাৎ কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে । আসামীদের দেওয়া তথ্য ও প্রাপ্ত সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ‘রতন গ্রুপ' এর সদস্য রাব্বিল ভিকটিম শাহাদাৎ কে ধরে থাকা অবস্থায় তানজীদ সুইচ গিয়ার দিয়ে প্রথমে ভিকটিমকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে। গ্রুপের অন্য সদস্য রানা ভিকটিম শাহাদাৎ কে কিল-ঘুষি মারতে থাকা অবস্থায় অন্য সদস্য আকাশ সুইচ গিয়ার দিয়ে শাহাদাৎ এর পেটের বাম পাশে বারংবার আঘাত করতে থাকে। অন্য সদস্য হাসিব, রিয়াজ, সানি, সাব্বির ও আরো কতিপয় সদস্য ভিকটিম শাহাদাৎ কে লাথি ও ঘুষি মারতে থাকে এবং রাসেল, সিয়াম, আসিফ বড় ছুরি নিয়ে ভিকটিম শাহাদাৎ কে চারপাশ থেকে ঘেরাও করে রাখে এবং নবী ভিকটিমের পিঠে বড় ছুরি দ্বারা আঘাত করলে ভিকটিম শাহাদাৎ ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ‘রতন গ্রুপ' এর সদস্যরা দ্রুত ঐ স্থান থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।