ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মাহবুব উল আলম হানিফ
আন্দোলনের নামে ভাংচুর করেন আবার মামলা দিলেই কান্নাকাটি
Published : Saturday, 3 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 03.09.2022 1:07:43 AM
আন্দোলনের নামে ভাংচুর করেন আবার মামলা দিলেই কান্নাকাটিশাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট জ¦ালাও-পোড়াও রাজনীতির মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে। যা গত কয়েকদিন ধরে আপনারা বিভিন্ন সংবাদে দেখেছেন। বিএনপি দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি কথায় কথায় বলেন, যে আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আপনার নেতা-কর্মীরা সন্ত্রাসী করলে মামলা হবে না ! আপনারা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস করবেন, বাসে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারবেন, ট্রেনে আগুন দিবেন, সরকার কি বসে বসে দেখবে? আপনার দলের নেতা-কর্মীরা সন্ত্রাসী করবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিলে আপনার মায়াকান্না হয়? তিনি ইদানিং বিভিন্ন সভায় চোখের পানি মুছেন, আমি বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলামকে বহুবার বলেছি, আপনারা ক্ষমতায় থাকাবস্থায় দেশের মানুষের জন্য কি কি করেছেন বলুন, দেশের কি উন্নয়ন করেছেন বলুন, তাঁরা তা বলতে পারেনি। বিএনপি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্যে অরাজকতায় নেমেছে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে অরাজকতা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টায় দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যে হানিফ বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। তখন কোথায় ছিল তাদের (বিএনপি) মানবিকতা?। তাঁরা ক্ষমতায় এসে হাওয়া ভবনে কমিশন বাণিজ্যে শুরু করেছে। তৎকালে এদেশে যত উন্নয়ন কর্মকান্ডের কাজ শুরু হয়েছে  এর আগে হাওয়া ভবনে কমিশন দিয়ে কাজ শুরু করতে হতো। বিদ্যুতের নামে খাম্বা বিক্রি করে মানুষকে ধোকা দিয়েছে। বিএনপি যাকে শীর্ষ নেতা হিসেবে মানে সেই তারেক রহমান, আমার ভাবতেও অবাক লাগে, মির্জা ফখরুলের মত শিক্ষিত ব্যক্তিরা কোন যোগ্যতায় একজন দূর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনের দায়ে অভিযুক্ত পলাতক তারেক রহমানকে নেতা হিসেবে মেনে নিয়ে কথা বলেন ! তার নেতৃত্বে কিভাবে রাজনীতি করেন? আজকে আপনারা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন, কয়েকদিন আগে তাঁরা গুমের নাটক করেছেন, আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কারা গুম হয়েছে তালিকা দেন, এরা বলেছে ৫০০ নেতা-কর্মী গুম হয়েছে, তালিকা চাওয়া হলো, তালিকা দিতে পারে না। তাদের নেতা-কর্মীরা অপকর্ম করে আত্মগোপনে যায় আর তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে গুমের নাটক সাজায়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামীলীগ কখনও গুম খুনের রাজনীতি বিশ্বাসী নয়।
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশে^র কাছে রোল মডেল। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে এদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন হিসেবে রুপান্তিত হয়েছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে গেছে, মানুষ এখন সুখে-শান্তিতে আছে। ২০৪১ সালের মধ্যে এ বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের তালিকায় স্থান পাবে।          
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একএকেএম মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায়, সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর ও ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক এমপি ও উপমন্ত্রী এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সি, দেবিদ্বারের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা সহসভাপতি আবদুল মতিন মুন্সি, শেখ আবদুল আউয়াল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হমায়ুন কবির, কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এটিএম মেহেদী হাসান, নিউইয়ার্ক প্রবাসী চিকিৎসক ডা.ফেরদৌস খন্দকার, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ওমানী, জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থী মো. আবুল বাসার সরকার প্রমুখ। বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মতিন সরকারের সভাপতিত্বে   প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রোশন আলী মাস্টার। সম্মেলন উদ্বোধন করেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ম.রহুল আমিন। ওই সম্মেলনে একেএম সফিউদ্দিন  কে সভাপতি, একেএম মনিরুজ্জামান মাষ্টারকে সিনিয়র সহসভাপতি, মোস্তফা কামাল চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক, হুমায়ুন কবির ও এজাজ মাহমুদ কে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং আবদুল মতিন সরকারকে সিনিয়র সদস্য করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।