Published : Monday, 5 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 05.09.2022 1:04:43 AM
সৌরভ মাহমুদ হারুন ।।
গত
বছরের নভেম্বর মাসে কৃষক পর্যায়ে জৈব বালাইনাশক তৈরি ও তা ব্যবহার করে
নিরাপদ সবজি উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করে বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিস। উপজেলার
চারটি গ্রামে কাজ শুরু হয়। কৃষকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
দীর্ঘ পাঁচ মাসের চলমান কার্যক্রমে আশানরুপ সাফল্য আসে ভারেল্লা দক্ষিণ
ইউনিয়নের এতবারপুর ও রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামে। এর মধ্যে
দক্ষিণগ্রামের আট জন কৃষক শশা, বেগুন ও ঢেড়সসহ উৎপাদন করেন সাত মেট্রিক টন
নিরাপদ সবজি।
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায় জানান,
স্থানীয় সহজ লভ্যতার ভিত্তিতে কৃষকদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন,
এতবারপুর গ্রামে নিমের নির্যাস আর সীমান্তবর্তী দক্ষিণগ্রামে ব্যবহৃত হবে
মেহগনির বীজ।
দক্ষিণগ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক ও রফিক মিয়ার সাথে কথা
বলে জানা যায়, শুরুতে তারা মেহগণির বীজ থেকে তৈরিকৃত জৈব বালাইনাশকে কাজ
হবে বা ফসলের কোন ক্ষতি হবে কিনা আশ্বস্ত হয়ে পারছিলেন না। স্থানীয়
উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. মুজিবুর রহমান ও উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা
দুই দফা উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। জৈব বালাইনাশক তৈরি উপর হাতে
কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। মাঠে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন পোকামাকড় ও রোগ চেনান।
দুই-এক প্রথমে শুরু করে এখন প্রায় সবাই মেহগনি বীজ ব্যবহার করেন। কৃষক
সুমন মিয়া জানান, পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় প্রচুর মেহগনি বীজ পাওয়া যায়। সবাই
যার যার প্রয়োজন মতো জোগাড় করে নেন। গাছে এখন নতুন ফল আসতেছে, আগামী শীতের
জন্য সবাই সংগ্রহ করবো।
জেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিণা আক্তার জানান,
কৃষকদের নিরাপদ সবজি চাষে উদ্বুদ্ধকরাটা বেশ কষ্টসাধ্য। তবে আমাদের এদিকে
এগুনো ছাড়া বিকল্প উপায় নেই। ভোক্তা পর্যায়ে নিরাপদ সবজি গ্রহণের সচেতনতা ও
নিরাপদ সবজির ভালো দাম নিশ্চিত করা গেলে কৃষক পর্যায়ে আগ্রহ বাড়বে। মাঠে
কর্মরত উপসহকারি কৃষি অফিসারবৃন্দ নিরাপদ সবজি উ পাদনে পরিকল্পনা অনুযায়ী
কাজ করে যাচ্ছেন।