কুমিল্লায় নির্দিষ্ট রেলস্টেশনে টিকিট না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। যেসব স্টেশনে ট্রেন যাত্রাবিরতি দেয়, ওইসব স্টেশনে আসন না থাকলেও স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়ার নিয়ম চালু ছিল।
কিন্তু কুমিল্লায় এ নিয়ম না মেনে দূরবর্তী স্টেশনের টিকিট দিয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা এ অভিযোগ করেন।
সূত্র জানায়, আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন কুমিল্লা হয়ে সিলেট ও চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে কুমিল্লার লাকসাম জংশন ও নাঙ্গলকোট স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। যাত্রাবিরতি দেওয়া লাকসাম স্টেশনের জন্য ট্রেনটির পাঁচটি আসন বরাদ্দ ছিল। আসন না পাওয়া যাত্রীরা স্ট্যান্ডিং টিকিট নিতেন। এদিকে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিট চালু ছিল। কুমিল্লা থেকে ওই দুই স্টেশনের ভাড়াই ছিল ৫০ টাকা। কিন্তু মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) নাঙ্গলকোট ও লাকসামগামী অন্তত দুইশ’ যাত্রীকে স্ট্যান্ডিং টিকিট না দিয়ে ফেনীর স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হয়, যার মূল্য ৮০টাকা। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
নাঙ্গলকোটগামী যাত্রী শাহাদাত হোসেন জানান, নাঙ্গলকোটের টিকিট চাওয়ায় আমাকে ফেনীর টিকিট দেওয়া হয়। বলা হয়, নাঙ্গলকোটের জন্য টিকিট বরাদ্দ নেই। এ ট্রেনে আগেও যাতায়াত করেছি। কিন্তু এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি।
একই এলাকার আরেক যাত্রী নিজাম উদ্দিন জানান, শতাধিকবার এ ট্রেনে করে নাঙ্গলকোট যাতায়াত করেছি। আজ হঠাৎ করে আমাদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই স্টেশনগুলোর জন্য কোটা বরাদ্দ নেই। আগেও টিকিট ছিল না।
কিন্তু যাত্রীরা বলছেন, আগে টিকিট ব্যবস্থা চালু ছিল, এ তথ্য তুলে ধরলে তিনি বলেন, যাত্রীদের কাউন্টারে যোগাযোগ করতে বলুন।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক আনসার আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।