ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
পর্দা নামলো কুবির সিএসই ফিয়েস্তা-২০২২
Published : Thursday, 8 September, 2022 at 12:00 AM
সাঈদ হাসান, কুবি ||
সমাপনী অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণী, নবীন বরণ, প্রবীণ বিদায় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্দা নামলো দুইদিনব্যাপী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উৎসব সিএসই  ফিয়েস্তা-২০২২ এর।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সিএসই বিভাগ এবং সিএসই সোসাইটির উদ্যোগে বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর (বার্ড) ময়নামতি অডিটোরিয়ামে বিভাগের চেয়ারম্যান পার্থ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন   উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
১৪তম ও ১৫তম ব্যাচের নবীনবরণ এবং ৯ম, ১০ম ও ১১তম ব্যাচের প্রবীণ বিদায় শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ-গান, আবৃত্তি, অভিনয় ও মাধ্যমে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বিদায় অনুষ্ঠান একটা দুঃখময় পার্ট। আমি প্রকৃতপক্ষে আপনাদের বিদায় জানাতে চাই না বরং আমি বলতে চাই আপনারা আরো বেশি বন্ডিং তৈরি করুন সামনের দিন গুলোর জন্য । তাই কখনোই ভার্সিটি ছেড়ে যাবেন না। আপনারা শারীরিক ভাবে আমাদের সাথে থাকবেন না কিন্তু মনের দিক থেকে আমার সাথেই থাকবেন। আমি আপনাদের অনুপ্রাণিত করছি ডিপার্টমেন্ট এবং ভার্সিটির সাথে যুক্ত থাকার জন্য কারণ আপনাদের অনুপ্রেরণা ব্যতিত আমাদের ডিপার্টমেন্ট বা ভার্সিটি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় শিক্ষা জীবনের সময়।তার মধ্যে শ্রেষ্ঠতম সময় অনার্স এবং মাস্টার্সের শিক্ষা লাভ। আপনারা অতিক্রম করছেন আপনাদের জীবনের শ্রেষ্ঠতম মুহূর্ত। সুতরাং আপনি এই শ্রেষ্ঠতম মুহূর্ত কিভাবে ব্যয় করবেন সেটার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটা প্লেস যেখানে জ্ঞান সৃষ্টি করা হয়। আর এই জ্ঞান সৃষ্টি করে সিনিয়র স্কলার এবং জুনিয়র স্কলার। যারা শিক্ষক তারা হলো সিনিয়র স্কলার আর যারা শিক্ষার্থী তারা হলো জুনিয়র স্কলার। যদি সিনিয়র স্কলার আর জুনিয়র স্কলারের সঠিক সম্মেলন হয় সেখানেই জ্ঞান সৃষ্টি হয়।