ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা
Published : Thursday, 8 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 08.09.2022 12:57:26 AM
ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলামো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় ধর্ষণচেষ্টা ও পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে উপজেলার ৫নং পূর্বধইর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম পারভেজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। হাটাশ গ্রামের ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে বুধবার কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর আদালতে ওই মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন মামলাটি গ্রহন করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ধার্য্য তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন, হাটাশ গ্রামের আবদুস সাত্তারের ভাগিনা জসীম, সুবল হাজীর ছেলে কাউছার, হিরাপুর গ্রামের তবদল হোসেনের ছেলে হাবিব ও একই গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে জলিল। বাদী পক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এডভোকেট সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট সোমবার মধ্যরাতে ৫নং পূর্বধইর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম পারভেজ গত ইউপি পরিষদ নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ না করাসহ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নির্বাচন করায় তার দলবল নিয়ে হাটাশ গ্রামের ভূক্তভোগী নারীর ঘরে ডুকে ওই নারীর পরিদেয় সমস্ত জামা-কাপড় টেনে হিচড়ে ছিড়ে অর্ধ-উলঙ্গ করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান ও মামলার ২নং আসামী হাটাশ গ্রামের আবদুস সাত্তারের ভাগিনা জসীম। এ সময় চেয়ারম্যানের অন্য সহযোগীরা একাধিক মোবাইলে এ ঘটনার স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে।  
পরে ওই নারী ধস্তাধস্তি করে কোন রকমে ঘর থেকে বের হয়ে শোর চিৎকার শুরু করলে অবস্থা বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান আবদুর রহিম পারভেজ ও তার সঙ্গীয়রা ঘটনাাস্থল ত্যাগ করেন। ঘটনাটি কাউকে না জানাতে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং পরে ধারনকৃত ওই ঘটনার ভিডিও ও অর্ধ-উলঙ্গের ছবি তাদের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজে আপলোড করে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ৫নং পূর্বধইর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম পারভেজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টা ও পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। বুধবার এ ঘটনায় মামলা হলে সর্বমহলে তোলপাড় শুরু হয়।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম পারভেজ দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, ওই গৃহবধূর অভিযোগ সঠিক নয়। এ ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না, তখন আমি ঢাকায় অবস্থান করেছি। তবে এ মহিলা খারাপ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় আমার পরিষদের সকল সদস্যদের নিয়ে একটি রেজুলেশন করে রেখেছি।