ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বুড়িচং থানার নতুন ওসি তদন্ত হিসেবে কবির হোসেন
Published : Tuesday, 20 September, 2022 at 12:00 AM
সৌরভ মাহমুদ হারুন  ||
কুমিল্লার বুড়িচং থানার নতুন ওসি তদন্ত  হিসেবে মো. কবির হোসেন যোগদান করেছেন। তিনি ২০১০ সালে প্রথম সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। প্রথমে তিনি ঢাকার লাল বাগ থানায় পরবর্তীতে এয়ারপোর্টসহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঢাকার বিভিন্ন থানায় অত্যন্ত সুনামের সাথে চাকুরী করেন। পদোন্নতি পেয়ে ২০২২সালের ৭ জুলাই চান্দিনা থানায় প্রথম ওসি তদন্ত হিসেবে যোগদান করেন। সেখান থেকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বদলি হয়ে বুড়িচং থানায় অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হিসেবে যোগদান করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত তাঁর স্ত্রী ডা. রাবেয়া আক্তিয়া নীলিমা একজন গাইনী ডাক্তার। কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কোলাহানী গ্রামে পিতা. মো. আকরব আলীর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মো. কবির হোসেন ১৯৯৯ সালে এসএসসি পাশ ও পরবর্তীতে সমাজ কর্মে কৃতিত্বের সাথে মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।
এক বিবৃতি তিনি বলেন, বুড়িচং উপজেলার সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নয়ন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন। এ লক্ষ্যে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।


ফেনীতে মুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি, বাঁধ ভেঙে ৪ গ্রাম প্লাবিত
ভারতীয় উজানের ঢলে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে ফেনীর ফুলগাজীতে বেড়িবাঁধের দুই স্থানে ভেঙে চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ভাঙনের অংশ দিয়ে প্রবল বেগে লোকালয়ে পানি ঢুকে বহু ঘরবাড়ি ও মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার আমনের চারা।
এ বছর দ্বিতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়ল এই এলাকার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, উজানের ঢল এবং কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর অংশে সোমবার সকালে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
“এতে করে উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, ঘনিয়ামোয়া ও জগতপুর গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সর্বশেষ ১৬ ঘণ্টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।”
উত্তর দৌলতপুর গ্রামের শফিউল্লাহ বলেন, “হঠাৎ বন্যার পানিতে আমার রোপা ২৫০ শতক আমনের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে কয়েকটি মাছের ঘের।”
দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, এবার ১২৫ শতক জায়গায় আমনের চারা লাগিয়েছিলেন। পানি ঢুকে পুরোটাই তলিয়ে গেছে।
“বানের পানি কাদাযুক্ত হওয়ায় খুব সহজে ধান নষ্ট হয়ে যাবে। সোমবারের মধ্যে পানি না নামলে সব ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। এতে করে বিপুল অংকের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।”
এর আগে রোববার বিকাল থেকে ফেনী-পরশুরাম সড়কের ফুলগাজী বাজার অংশও প্লাবিত হয়। রাতে ফুলগাজী বাজারে পানি উঠে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক দোকানপাট। তবে সোমবার সকালে বাজারের পানি নেমে যায়।
মহিলা কলেজ রোডের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর এভাবে বন্যার পানিতে বাজার তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন্নাহার জানান, ইতোমধ্যে ভাঙনকৃত অংশগুলো পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, পানি নেমে গেলে ভাঙনকৃত অংশগুলো মেরামত করা হবে।
চলতি বছরে এটি ফুলগাজী উপজেলায় দ্বিতীয় দফার প্লাবন। এর আগে গত ২০ জুন মুহুরী নদীর চারটি স্থানে ভাঙনের ফলে ২২টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল