Published : Monday, 26 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 26.09.2022 1:24:26 AM
তানভীল দিপু:
গোমতী,
ডাকাতিয়া, কাকড়ীসহ কুমিল্লা জেলায় বহমান ১৫টি নদীর চর এবং তীরে অবৈধ
দখলদারের সংখ্যা দু হাজার ৩২২ জন। এর মধ্যে মাত্র ৩৬৩ জনকে উচ্ছেদ করা
হয়েছে। গতকাল বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ড
কুমিল্লার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহজালাল সেলিম এই তথ্য দেন। সবচেয়ে বেশি
দখলের শিকার কুমিল্লার গোমতী নদী। পানি উন্নয়ণ বোর্ডের এই কর্মকর্তা জানান,
দখলতার উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। এদিকে কুমিল্লার গোমতী নদীকে দখলদার
এবং বালু-মাটি খেকোদের কাছ থেকে উদ্ধারের জন্য চার দিনের এবার ‘ক্রাশ
প্রোগ্রাম’ হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সভায় উপস্থিত কুমিল্লার সুশীল সমাজের
বক্তাদের দাবির মুখে পুরাতন গোমতী এবং নতুন গোমতীর বাঁধ রক্ষায় আবারো পানি
উন্নয়ণ বোর্ড এবং জেলা প্রশাসনের সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত
জানান সভার প্রধান অতিথি ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
জেলা
প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের
সিন্ডিকেট খুবই শক্তিশালী। তাদেরকে প্রতিহত করতে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং
প্রশাসনিক ভাবে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। কুমিল্লা গোমতি নদীর দুপাশ অবৈধ
বালু উত্তোলনকারীরা বালু ও মাটি কেটে নেওয়ার ফলে ফসলি জমি ও নদীর গতি পথ
নষ্ট হয়েছে। নদীকে বাঁচতে দিতে হবে, নদীকে বাঁচাতে হবে। ড্রেজিং ও দখল রোধে
কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং নদীর প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করবে পরিবেশ
অধিদপ্তর। সচেতনতা সৃষ্টি এবং কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নদীগুলোর
প্রাণ ফেরাতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কাবিরুল
ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী
শাহজালাল সেলিম, পরিবেশকর্মী আলহাজ্ব ওমর ফারুকসহ অন্যরা।
আলোচনা সভা উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহনে সংক্ষিপ্ত র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।