ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ব্রাহ্মণপাড়া ঘরে ঘরে জ্বর, হাসপাতালে রোগীর ভিড়
Published : Thursday, 29 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 28.09.2022 11:49:54 PM
ব্রাহ্মণপাড়া ঘরে ঘরে জ্বর, হাসপাতালে রোগীর ভিড়ইসমাইল নয়ন।।
কয়েকদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেনের ছেলে সিয়াম (৫)। তার ছেলের জ্বর তিন-চার দিনে ভালো হয়ে গেলেও তার ছোট মেয়ে তাবাসসুম (২) পরে জ্বরে আক্রান্ত হয়। মেয়ে পাঁচ দিনেও সুস্থ হয়ে ওঠেনি, আর জ্বরের সাথে কাশিও রয়েছে, আছে গলা ব্যথাও। কামাল হোসেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসীর লোক থেকে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধসহ অন্যান্য ঔষধ খাইয়েছিলেন। কিন্তু ছেলে মোটামুটি সুস্থ হলেও মেয়ে সুস্থ না হওয়ায় সোমবার সকালে কামাল হোসেন ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম সন্তানদের নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন। চিকিৎসা নেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে।
 এ শুধু এই পরিবারের ঘটনা নয়, উপজেলার প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশির রোগের প্রকোপ চলছে। প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ জ্বর বা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এ পরিস্থিতি এমন এক সময়ে সৃষ্টি হয়েছে, যখন দেশে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপও রয়েছে। অথচ জ্বরে আক্রান্ত হলেও অনেকেই করোনা বা ডেঙ্গু পরীক্ষায় আগ্রহী নন। ফলে বোঝার উপায় নেই এটা মৌসুমি জ্বর নাকি অন্যকিছু। তবে অধিকাংশ রোগীকে মৌসুমি জ্বর ধরে নিয়েই চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
এপারে চিকিৎসকেরা বলছেন, মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে মৌসুমি জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ অনেকটা বেড়েছে। তবে এসব জ্বরকে অবহেলা করা উচিত নয়। আর জ্বর চার দিনের বেশি স্থায়ী হলে করোনার পরীক্ষা ও ডেঙ্গু পরীক্ষার পাশাপাশি নিজ থেকে বা ফার্মেসীর লোকজন থেকে কোনো ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক না সেবন করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, আবহাওয়ার খামখেয়ালির কারণে দিন-রাতের তাপমাত্রা বাড়ছে-কমছে। আবার কখনও রোদ এবং কখনও বৃষ্টির ফলে ভাইরাসজনিত নানা ধরনের জ্বর, সর্দি এবং গলাব্যথা বেশি দেখা দেয়।
তিনি বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি ডেঙ্গুও রয়েছে। এ দুটির উপসর্গও জ্বর। তবে যেভাবেই শরীরে জ্বরই আসুক না কেন, কোনো অবহেলা করা যাবে না। আর ঠান্ডা জ্বর, সর্দি-কাশি হলে অবশ্যই করোনা ও ডেঙ্গু টেস্ট করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।