মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রায় দুই মাস ধরে সংঘর্ষ চলছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে এবার পর্যটকবাহী জাহাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রবিবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে আড়াইটায় টেকনাফ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা এরফানুর হক এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্টদের নির্দেশে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিয়ানমারের পরিস্থিতির পাশাপাশি নৌপথের সমস্যার কারণে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, টেকনাফের পরিবর্তে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ সরাসরি সেন্টমার্টিনে যাতায়াত করবে।’
এদিকে, শনিবার (১ অক্টোবর) বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেছেন, সেন্টমার্টিনে যে হারে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে তা পর্যটনের সঙ্গে যায় না। এ স্থাপনাগুলোর চাপ সেন্টমার্টিন সহ্য করতে পারছে না। এগুলো বন্ধের জন্য কাজ চলছে। সবকিছু বিবেচনায় রেখে আপাতত টেকনাফ ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া জাহাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কবে নাগাদ টেকনাফ ঘাট থেকে জাহাজ ছাড়বে তা পরে জানানো হবে।
সাগর উত্তাল থাকার পাশাপাশি কালবৈশাখীর শঙ্কা থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতি বছর এপ্রিল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সাধারণত বন্ধের এই সময় সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। কিন্তু এবার সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ও নৌপথের সমস্যার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলবে না বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় দুই মাস ধরে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি চলছে। প্রতিদিন গোলাগুলি ও গোলা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত এলাকার বাড়িঘর। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন পার করছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
এদিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারাও গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। তারা বলছেন, মাঝে মাঝেই খুব বিকট শব্দ আসছে। এগুলো মর্টারশেলের শব্দ হতে পারে।