আনোয়ারুল হক ||
হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের সভ্যতার স্বরলিপি লেখা হয়েছে তার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঞ্চয় থেকে উপাদান সংগ্রহ করে। সে আপনমনেই লিখেছে, ছবি এঁকেছে পাহাড়ের গায়ে, গাছের বাকলে, গুহার দেয়ালে তাল-কলাপাতার মসৃণ পিঠে। কোন কিছু প্রাপ্তির প্রত্যাশা না করে কালান্তরে মানুষ অতীতের যাপিত জীবনে নিজেকে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনে অনুসন্ধান সাপেক্ষে জেনেছে নিজেদের অতীত ইতিহাস। জানার এমন নিবিড় আগ্রহ থেকে অনুসন্ধিৎসু মানুষ জীবন চেতনার পাল্লা শক্তি ও সাহসে, প্ররণার মনি-কাঞ্চনে পোক্ত করে গেছে। পরম্পরা সময়ে। ফলে যেপথে আমরা বর্তমানে এসে পৌঁছেছি, মনে রাখতে হবে, এই পথের প্রতিটি ধূলোর গায়ে লেগে আছে আমাদের পূর্ব-পুরুষের পদচিহ্ন। তাদের রক্ত-ঘামে মেশা আত্মত্যাগ, আত্মবিসর্জনের প্রলেপে গড়ে ওঠেছে এই ভূখণ্ডের প্রতিটি সমৃদ্ধ জনপদ। কালের শাসক-শোষকের সমস্ত প্রতিকূলতাকে ডিঙিয়ে, গত শতকের শেষার্ধে ত্রিশলক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে গড়ে উঠেছে আমাদের অহংকার স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের মানচিত্র। এই ভূখণ্ডের প্রতিটি জনপদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরিচিতি আমার পায়ের তলার মাটি, যার ওপর আমি, আমরা দাঁড়িয়ে আছি হাজার বছরের আলোকোজ্জ্বল স্মৃতির রস্মি জ্বেলে। এবং সেই আলোতে যারা পথ খোঁজে আগামীর, তাদেরই একজন তরুণ গবেষক, ইতিহাস-ঐতিহ্য সন্ধানী লেখক আহসানুল কবীর।
বলার অপেক্ষা রাখে না, কুমিল্লার কাগজ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত (২০১৮) কুমিল্লার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নামের গ্রন্থটি নামকরণের জন্যই বুঝা যায়, এটি স্থানীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক শেকড় সন্ধানী গ্রন্থ। খুব সহজ সরল পাঠ যা বর্তমান কঠিন সময়ে লেখা শুধু কঠিন নয়, অসাধ্যও বটে। আমাদের অতীত-বর্তমানের মেলবন্ধন রচনায় এধরণের গ্রন্থ লেখা শুধু পরিশ্রম দিয়ে হয় না, যদি না ঐকান্তিক আগ্রহ অন্তর থেকে না জন্মে। মনে করেন, যেবিষয় এই গ্রন্থের উপজীব্য সেবিষয়ে লেখার একটি অনতিক্রম্য সমস্যা রয়েছে। কেননা, আমাদের বিজ্ঞ সমাজে, রাজনীতিতে, সংস্কৃত বলয়ে কোন বিষয়ে একমত না হতে পারার সীমাবদ্ধতা প্রকট। কিন্তু পাঠক হিসেবে আমরা লক্ষ করি, এই গন্থের লেখক খুব সহজেই এই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করেন যখন তিনি নিবিড় বিশ্বাসে তার বলার বিষয়টি অনায়াসে ব্যক্ত করেন অবশ্যই প্রাপ্ত তথ্য-যুক্তিকে নির্ভর করে এবং তখন এই নবীন অনুসন্ধানী গ্রন্থকারের তথ্য পরিবেশন বিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করতে আমাদের কোন দ্বিধা থাকেনা। অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্যতার সাথেই লেখক নিজের জন্মভূমি কুমিল্লা অঞ্চলের বিগত অতীতের মনি-মুক্তো কুড়িয়ে সঞ্চয় করেন যার স্পর্শে আমাদের আগামীর ভিত সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।
বলাবাহুল্য, স্থানীয় ইতিহাস চর্চা করা, অনুসন্ধান ও আত্মস্থ করার বিষয়টি কোন আঞ্চলিকতা নয়, বরং এই চর্চা সমগ্র দেশের নাড়ীর সঙ্গে নিজের মাটি ও মানুষের সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বমানবের মাটি ও মৃত্তিকার সাথে চেতন সম্পন্ন মানুষের অন্তরযোগ স্থাপন করা নিজেকে জানা, নিজের এলাকার মাটি ও মানুষ, জনপদের অতীত কর্মকুসুম আয়ত্তে নেবার আগ্রহ থেকে আহসানুল কবীর এই গ্রন্থে নিজ জেলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে আধুনিক ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও প্রিয়জন, প্রেয় ব্যক্তিত্বকে তাঁর লেখার উপজীব্য করেছেন। ধারাবহিক যদিও নয়, তবে নানা বিষয় সংস্থাপনের মধ্য দিয়ে লেখকের ঐতিহ্যপ্রীতি এবং সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতি একজন সুনাগরিকের দায়বদ্ধতার পরিচয় পাওয়া যায়। এই দায় থেকেই মনে করি, গবেষক এতদঞ্চলের সত্য ইতিহাস, বিস্তৃত ঐতিহ্য ও আজানা সামাজিক সাংস্কৃতিক ইতিবৃত্তকে নিষ্ঠার সাথে সূচিবদ্ধ করেছেন, যার সাথে মিশেছে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন করার অভিজ্ঞতা এবং দেখার আলাদা দৃষ্টিভঙ্গী। যেজন্য এর বিষয়বস্তু কুমিল্লা কেন্দ্রিক অঞ্চলকে ছাপিয়ে জাতীয় ইতিহাসের উপাদান হয়ে উঠেছে । ফলে, আগ্রহী পাঠকের রসপিপাসা মেটাবার মতো প্রচুর উপাদান রয়েছে এই আকর গ্রন্থটিতে।
ইংরেজ শাসিত সময়ে ভূভারতের ব্রিটিশ বিরোধী রাজনীতির সঙ্গে এতদঞ্চলের তেজদীপ্ত তারুণ্যের শক্তি ও সাহসের বিপ্লবী ইতিহাস বিবৃত হয়েছে ‘ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে কুমিল্লা’ রচনাটিতে। কুমিল্লার প্রাচীন ইতিহাস ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান ‘কুমিল্লা টাউনহল প্রতিষ্ঠা এবং উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সভা সমাবেশ’, ‘হোমনাবাদ পরগনার ইতিহাস’, ‘শাহসুজা মসজিদ স্থপতির সন্ধানে’, ‘ইতিহাসের রহস্য পুরুষ শমশের গাজী’, থম্পসনের চোখে গাঙেয় বদ্বীপ অঞ্চলে ইউ রোপীয় বসতি’সহ ‘বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শাড়ী বিষয়ক রচনা এবং আমাদের ধর্ম সাগর’ ইত্যাদি তথ্য সমৃদ্ধ রচনাসমূহ আমাদের এই বদ্বীপ অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাসের সমৃদ্ধির পরিচয় বহন করে। এই সমস্ত রচনাসহ গ্রন্থজুড়ে যে তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তাকে লেখক পর্যাপ্ত এবং শেষকথা বলে সমাপ্তি টেনেছেন এমন নয়। তিনি সচেতন ভাবেই উল্লেখ করেছেন, আমাদের দেশে ইতিহাস চর্চার একটি বড় সমস্যা হল নির্মোহ হয়ে উঠতে না পারা। যেঘটনা আমাদের জীবদ্দশায় ঘটেছে, যার সাথে আমরা কোন কোনভাবে জড়িয়ে আছি অথবা আমাদের পূর্বপুরুষদের আমলে সংঘটিত হয়েছে, সেইসব ঘটনার সাথে বংশপরম্পরায় আমরা হয়তোবা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছি, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই আবেগ তাড়িত হই যাকিনা সঠিক বিচারে, মূল্যায়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও ইতিহাস লেখার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হল সঠিক তথ্য এবং নির্ভরযোগ্য সূত্রের অভাব। তথাপি যেসমস্ত সূত্র ধরে লেখা চালিয়ে যেতে হয় তার একটি বড় অংশ হচ্ছে, প্রাচীন দলিল দস্তাবেজ এবং এসবের পাশাপাশি জনশ্রুতির উপর নির্ভরতা । তবে, এখানেও সমস্যা বিদ্যমান। কেননা, যাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়, তাঁরা নিজেদের পরিবেশিত তথ্যকেই মনে করেন, নির্ভুল। উপরন্তু তিনি যদি সমাজে প্রতিষ্ঠিত এবং বিজ্ঞ ব্যক্তি বলে পরিচিতি পেয়ে গিয়ে থাকেন তাহলে জ্ঞাত ভুল তথ্য পরিবেশন থেকে তিনি যেবিরত থাকেন না, তেমন একটি উদাহরণ এই গ্রন্থেই আছে। অপ্রসঙ্গিক নয় বিধায় উল্লেখ করা যেতে পারে।
‘স্থপতি বিভ্রাটে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ’ রচনায় ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের স্থপতি বিষয়ক বিভ্রাটের কথা উল্লেখ করে গ্রন্থকার জানিয়েছেন, প্রখ্যাত ঐতিহাসিক বৃহত্তর কুমিল্লার কৃতি সন্তান অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন তাঁর কোন এক গ্রন্থে ঢাকাস্থ গৌর সুন্দরের পুত্র ‘আনন্দ চন্দ্র রায়কে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বলে উল্লেখ করেছেন। তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে গবেষক আহসানুল কবীর তাঁর গ্রন্থে জানিয়েছেন, প্রকৃতপক্ষে মুনতাসীর মামুনের উল্লেখিত আনন্দ চন্দ্র রায় আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আনন্দ চন্দ্র রায় এক ব্যক্তি নন, তাঁরা আলাদা ব্যক্তিত্ব। অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন নামে নামে মিল থাকার কারণে যেসরল রেখা টেনেছেন তাতে বর্তমান লেখক যদি বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান না করতেন তাহলে ভুল তথ্যটিই ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়ে যেতো।এক্ষেত্রে লেখক সবমিলিয়ে গ্রন্থের প্রত্যেকটি রচনার বিষয়ে, তথ্য নিবার্চনে, বয়ানে যে আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন তাতে তিনি আমাদের সকলের ধন্যবাদ পাবার যোগ্য কাজ করেছেন।
সবচেয়ে বড় কথা, ইতিহাসের পায়ে পায়ে হেঁটে চলার যে অনুভূতি আমাদের মনকে নাড়া দেয়, অতীত রোমন্থনে আমরা আপ্লুত হই, সেকালের সময়ে দাঁড়িয়ে বর্তমানের নিজেকে একাত্ম হবার ফুরসতটুকু এনে দেয়, তেমন ২৮টি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়সহ গ্রন্থসমালোচনাও এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত আছে। যাতে বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে যেতে যেতে অতীতে এবং বর্তমানের আমিতে যোগসূত্র খুঁজে পেতে কোন বেগ পেতে হয় না বলে মনে করি।
মোগলটুলিতে নানা বাড়িতে আমার জন্ম বিধায় কুমিল্লার প্রাচীন ঐতিহ্য শাহসুজা মসজিদের সঙ্গে আমার যোগ আছে স্মৃতির। বালক বেলায় যেমন, আজও ঐ মসজিদের মিম্বরের নিচে গিয়ে দাঁড়ালে আমার অনুভুতিতে শুনতে পাই ঘোড়ার ছুটে চলার দ্রুত পদধ্বনি। সেই শাহসুজা মসজিদ প্রতিষ্ঠার প্রকৃত ইতিহাস জনশ্রুতির বেড়াজাল থেকে বের করে এনে এর প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক কাজ সম্পন্ন করেছেন লেখক। আমরা পেয়েছি ইতিহাসের রোমাঞ্চ ও বেদনার ইতিহাস যেখানে পা রাখলে কালের হ্রেস্বা ধ্বনি অনুভব করা যায়।
অনুভব করা যায় কুমিল্লার রাজনীতির, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের যাপিত জীবনের উত্তাপ, যাঁদের অবদানে এই অঞ্চলের সমৃদ্ধির আনন্দ ভূবন যুগে যুগে রচিত হয়েছে কালের সাক্ষী হয়ে। চারদশকে কুমিল্লার রাজনীতির খেরোখাতা’, ‘কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের হারিয়ে যাওয়া নেতারা’,একজন মাইনুল হুদা এবং আজকের আওয়ামী লীগ’, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ‘চির-ভাস্বর আবদুর রউফ’, ‘বিস্মৃত নাম মোহাম্মদ আবুল কাশেম’, ‘পাঠকের চোখে আওয়ামী লীগ: উত্থান পর্ব ১৯৪৮-১৯৭০, গ্রন্থ-সমালোচনা এ্যাডভোকেট আহমদ আলীর আওয়ামী লীগের ইতিহাস’, ইত্যাদি ছাড়াও লেখকের ব্যক্তিগত সম্পর্কের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রচিত সরল উপলব্ধির সমৃদ্ধ রচনা ‘দেবদূতের প্রস্থান’, “পাঠকের চোখে ‘নিজেরে হারায়ে খুঁজি”, ‘হাবিউল্লাহ চৌধুরী: নি:সঙ্গ শেরপা ইত্যাদি রচনা গ্রন্থটির বিচক্ষণ মূল্যায়নে অনুধাবন করা যায়, এসব লেখকের দরদী বিষয়।
সবশেষে বলি, যদি ইতোমধ্যে গবেষণা ও গবেষকের সংজ্ঞার কোন পরিবর্তন না হয়ে থাকে, আর যদি গবেষণার অর্থ হয়ে থাকে নব-মূল্যায়ন, নতুন আলোর বিচ্ছুরণ তাহলে আহসানুল কবীরের এই গ্রন্থ ‘কুমিল্লার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি’ নতুন দৃষ্টিতে আমাদের অতীত ও বর্তমানকে দেখতে, চিনতে, মূল্যায়নে সাহায্য করবে। ইতিহাস-ঐতিহ্যপ্রেমী নবীন অনুসন্ধিৎসু লেখক এই গ্রন্থটি লিখে যে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন, এই গ্রন্থের প্রকাশক, সম্পাদক ও গবেষক আবুল কাশেম হৃদয়সহ নবীন গবেষকরা কুমিল্লার সমৃদ্ধ ইতিহাস চর্চায় যেভূমিকা পালন করছে, করে যাচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে, এই দায়িত্ব পালন করার কথা প্রবীণদের। যারা আমরা নবীনদের ভুল-শুদ্ধ নির্ণয়ে বক্তৃতা দিয়ে, আলোচনায় আসর মাত করতে চাই। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করিনি। রাজনীতির মাঠ থেকে সংস্কৃতির টেবিলে আমারা কেবল ‘ফিউচার টেন্সে’ কথা বলে গেছি, যাচ্ছি। একারণে আহসানুল কবীরের মতো নবীন লেখকের আন্তরিক পরিশ্রমের ফসল এই গ্রন্থটিকে ইতিহাসের আকর গ্রন্থ হিসেবে গ্রহণ করতে এবং প্রাণময় ধন্যবাদ জানাতে আমার কোন দ্বিধা নেই। ভবিষ্যত প্রজন্ম এই গ্রন্থ পাঠে তাদের জানার আগ্রহ মেটাতে সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হবে না এই বিশ্বাস একজন নিবিড় পাঠকের পক্ষ থেকে নির্দ্বিধায় আমি জানিয়ে দিতে পারি।
গ্রন্থটি এর পরের মুদ্রণে গেলে অল্প মুদ্রণ-প্রমাদ যাআছে সম্পাদনার সময় তা থাকবেনা মনে করি। লেখক, প্রকাশকসহ সকলের এই শুভ প্রচেষ্টার জন্য আমাদের নিত্য শুভকামনা থাকবে। আহসানুল কবীরের শুভ ইচ্ছের জয় হোক সবসময়, জয় হোক এই গ্রন্থের লেখকের সুখপাঠ্য কলমের।
লেখক: কবি, কথাসাহিত্যিক ও গবেষক।