হালদা নদী থেকে পানি উত্তোলন নিয়ে বিভ্রান্তি নয়: এলজিআরডি মন্ত্রী
Published : Monday, 4 January, 2021 at 12:00 AM
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক অঞ্চলে হালদা নদী থেকে পানি উত্তোলন করা নিয়ে বিভ্রান্তি এবং মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
চট্টগ্রামে হোটেল রেডিসন ব্লু-তে আয়োজিত চীন সরকার হতে অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত এলইডি বাল্ব বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, হালদা নদীতে যে পানির প্রবাহ রয়েছে তার থেকে মিরেরসরাই ইকোনমিক জোনের জন্য যে পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হবে এতে নদী এবং মাছের প্রজননের কোন সমস্যা হবে না বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। দেশের উন্নয়নের জন্য ভ্রান্ত ধারণা ও মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে উন্নয়ন যাত্রা ব্যাহত হলে দেশের মানুষকে এর মূল্য দিতে হবে। তাই দেশের উন্নয়নের জন্য বিভ্রান্তি এবং ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি না করে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
মিরসরাইয়ে ইকোকমিক জোনে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, কক্সবাজার পর্যন্ত যে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করা হবে এরফলে এই অঞ্চলে শতশত ফাইভ স্টার হোটেল-মোটেল হবে। লাখ লাখ ডলার বিনিয়োগ হওয়ার পাশাপাশি ট্যুরিজম সেক্টরে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। চট্টগ্রাম নগরীর যে সম্ভাবনা আছে তা কাজে লাগাতে হবে। এসবের জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ছাড়াও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দরকার পড়বে তার জন্য এখন থেকে সব প্রস্তুতি নিতে হবে।
মো.তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে হলে চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দিতে হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়নের সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন জড়িয়ে আছে। চট্টগ্রাম বন্দর না থাকলে এতো দ্রুত বাংলাদেশের উন্নয়ন হতো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে অনেক দেশের বন্দর এবং সম্ভাবনা থাকলেও সুযোগ সুবিধা নেয়ার ক্ষেত্রে সেসব দেশ বাংলাদেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে। চট্টগ্রামসহ দেশের সব জায়গার উন্নয়ন করতে হবে, তার জন্য সবাইকে স্ব স্ব জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে, কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসছে বলেই আমাদের ভৌগোলিক সীমানা, ছিটমহল সমস্যা ও সমুদ্র সীমানাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগসহ অনেক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নত হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালেই আগেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।
এসময় বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ বাংলাদেশকে এলইডি বাল্ব সরবরাহ করায় চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন, পরিচালক চট্টগ্রাম বিভাগ স্থানীয় সরকার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার এবং চীন সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চৎড়ারংরড়হ ড়ভ এড়ড়ফং ভড়ৎ অফফৎবংংরহম ঃযব পষরসধঃব ঈযধহমব বিষয়ক গড়ট অনুসারে চীন সরকার বাংলাদেশের জন্য অনুদান হিসেবে ১৩ হাজার ১২৫ প্যাকেট এলইডি বাল্ব প্রেরণ করে। প্রতিটি প্যাকেটে একশো টি করে বাল্ব রয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদে বিতরণ করা হবে।