Published : Saturday, 16 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 16.01.2021 1:32:47 AM
তানভীর সাবিক, কুবি ||
কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বিভিন্ন অনুষদ ও আবাসিক হলগুলোর চারপাশ,
নালা-নর্দমা অপরিষ্কার, যত্রতত্র বর্জ্য থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে মশার বিস্তার।
মশার উপদ্রব আর নোংরা পরিবেশে অতিষ্ঠ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের
সদস্যরা।
ড্রেনের মধ্যে বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে
পানি নোংরা হয়ে কালো হয়ে গেছে। এই নোংরা ও গন্ধযুক্ত পানিতে বংশবিস্তার
ঘটছে মশা, মাছিসহ বিভিন্ন পোকা-মাকড়ের। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে
আছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে গভীর কূপ, প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখভাগে
ড্রেন, বিভিন্ন আবাসিক হলের চারপাশের নর্দমাগুলোতে নোংরা পানি জমে আছে। কলা
ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মধ্যভাগে, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের পেছনের অংশে,
কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং বিজ্ঞান অনুষদের সংযোগ সেতুর চারপাশ,
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের চারপাশ, আবাসিক হলসমূহের আশপাশে ময়লা-আবর্জনার
একাধিক স্তুপ। কিন্তু এসব পরিষ্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসন।
বিভিন্ন বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গরম
শুরু হতে না হতেই ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ তারা। একদিকে মশার
উপদ্রব অন্যদিকে নোংরা পরিবেশের কারণে ভোগান্তি। অনেক সময় আবর্জনার পচা
গন্ধ কাস রুম পর্যন্ত চলে আসে। এতে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। প্রশাসনের উচিত
অতিদ্রুত ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেওয়া।
নিরাপত্তার
দায়িত্বে থাকা এক প্রহরী বলেন, 'গভীর রাত পর্যন্ত আমাদের ডিউটি করতে হয়।
সন্ধ্যার পর থেকে মশার উপদ্রবে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। রাতে এ উপদ্রব
আরও বাড়ে।
এ বিষয়ে জানতে এস্টেট শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর
রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ
থাকা, হল বন্ধ থাকায় কাজগুলো করা হয়নি। আবার এস্টেট শাখায় জনবলের অভাবেও
কাজগুলো দ্রুত শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। একটি দফতরে এত কম জনবল নিয়ে কাজ করা
সম্ভব হয় না। তাদের সব কাজ ভাগ করে করতে হয়। ফলে কাজ করা সময়সাপে হয়ে পড়ে।
তবে আমরা কাজ শুরু করেছি এবং পর্যায়ক্রমে কাজগুলো শেষ করব।