দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে তিন ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে এসেছে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইতিমধ্যে অপরিচিত ও অনিয়মিত খেলোয়াড়দের নিয়েই ওয়ানডে ও
টেস্টের প্রাথমিক স্কোয়াড সাজিয়েছে তারা।
তবে আন্তর্জাতিকে বেশিসংখ্যক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও বেশ কয়েকজন প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার রয়েছেন দলে।
তাদের মধ্যে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় রয়েছেন- ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক ও
ওপেনার সুনীল অ্যামব্রিস। মাত্র ৬ টেস্ট ও ১৩ ওয়ানডে খেলেই জাতীয় দলের
সহ-অধিনায়ক হয়েছেন তিনি।
জাতীয় দলে ঠাঁই পেয়ে খুবই রোমাঞ্চিত তিনি। ক্যারিবীয়দের হয়ে এটাই তার
প্রথম সিরিজ। আর এ সিরিজেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চান তিনি। বাংলাদেশের
বিপক্ষে অন্তত একটি হলেও সেঞ্চুরি আশা করছেন অ্যামব্রিস।
এমন আশা করতেই পারেন তিনি। এখন পর্যন্ত ১৩ ওয়ানডে খেলে ৪৪ গড়ে ৪৪৭ রান
করেছেন অ্যামব্রিস। দুই অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন ও ১টি সেঞ্চুরিও রয়েছে তার
ঝুলিতে।
শুক্রবার দলের অনুশীলন শেষে অ্যামব্রিস গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি খুবই
রোমাঞ্চিত। সত্যি বলতে, আমি নিজেও বুঝতে পারিনি এমন কিছু আসছে। আমি ১৩
ওয়ানডে খেলেছি, ৪৪ গড়ে রান করেছি। মাইন্ডসেট সবসময় একই থাকে। ইতিবাচক খেলা
এবং কম অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সাহায্য করা। এই সিরিজে আমি রান করতে চাই। তিন
ম্যাচে একটিতে অন্তত সেঞ্চুরি পেতে চাই। ’
ব্যাটিংয়ে অবদান রাখতে পারলে দল জিততে পারবে বলে আশাবাদী অ্যামব্রিস।
তিনি যোগ করেন, এটিই প্রথম সফর যেখানে আমি বেশ আত্মবিশ্বাসী।
ব্যাটসম্যানরা স্কোরবোর্ডে ২৪০ থেকে ২৭০ রান রাখতে পারলে ম্যাচ জেতার
সামর্থ্য রয়েছে ক্যারিবীয় বোলিং ডিপার্টমেন্টের। এই কন্ডিশন ও আমাদের
বোলিংয়ের কথা ভাবলে, ২৪০ থেকে ২৭০ এর মধ্যে যেকোনো রান আটকানো সম্ভব।
বাংলাদেশের বিপক্ষে পারফরম্যান্স দেখিয়ে একাদশে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করতে প্রত্যয়ী ২৭ বছর বয়সী এ ওপেনার।
বললেন, ‘মূল বিষয় হলো ইতিবাচক থাকা। আমার মনে হয়, এটা আমার প্রথম সিরিজ
যেখানে আমি নিশ্চিত যে মূল একাদশে থাকব। আমি এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। দলের
পরের সিরিজগুলোর জন্যও প্রথম একাদশে জায়গা পাকাপোক্ত করতে চাই।’