অভিনেতা তাসকিন আহমেদের ব্রেনে সার্জারি করা হয়েছে। এখন তিনি রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে। গত নভেম্বর মাসে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এই অভিনেতাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাসকিন আহমেদ মূলত অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী। গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশে থাকাকালীন হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। করোনার কারণে চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে পারছিলেন না। পরে বিমান যোগাযোগ কিছুটা স্বাভাবিক হলে নভেম্বরে তিনি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন। সেখানকার চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, ব্রেনে সার্জারি করাতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমার ব্রেনের নার্ভে সার্জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে কয়েক মাস মানসিক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত। নার্ভগুলোকে সতেজ রাখতে হচ্ছে। প্রায় মাসখানেক সবকিছু থেকে দূরে আছি। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে একটি ফলোআপ আছে। সে সময় আরও একটি সার্জারি করাতে হতে পারে।’
‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির খল চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন তাসকিন। দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছিলেন নির্মাতা ও সমালোচকদের। এরপর একে একে বেশ কিছু সিনেমায় যুক্ত হয়ে ব্যস্ত অভিনয়শিল্পী হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর অভিনীত ‘গিরগিটি’, ‘ওস্তাদ’সহ চারটি ছবির শুটিং এখনো বাকি রয়েছে। এসব ছবির কোনটির ৫০ শতাংশ, কোনটির ১০ শতাংশ শুটিং অসম্পূর্ণ রয়েছে। এ ছাড়া ‘শান’ ছবির গানের দৃশ্যেও অংশ নিতে হবে এই অভিনেতাকে। এ ছাড়া এখনো তাঁর ছয়টি ছবির ডাবিং বাকি আছে। তাসকিন জানান, কর্মব্যস্ততাই ভালো লাগে তাঁর। সে জন্য নিয়মিত কাজ করতে কয়েক বছর আগে দেশে ফিরেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেকগুলো ছবির শুটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশে ফিরতে পারছি না। এটা আমাকে খুবই কষ্ট দিচ্ছে। এই মুহূর্তে সবার দোয়া ও ভালোবাসা দরকার। তাহলে শিগগিরই হয়তো দেশে ফিরে প্রিয় অঙ্গনে কাজ শুরু করতে পারব।’
ব্রেনে চাপ পড়ে—এ রকম কিছু সার্জারির পর থেকে চিন্তা করছেন না তাসকিন। তাই জানুয়ারি মাস পুরোটাই তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হবে। খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হয়েছে পরিবর্তন। এখন মানসিক চাপমুক্ত থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বিশ্রাম নিচ্ছেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাসকিন অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘জানোয়ার’। এ ছবিতে তাঁকে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দেখা যাবে। নারী নির্যাতন নিয়ে ছবির গল্প। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেছেন ‘১৫ আগস্ট ১৯৭৫’ সিনেমায়।