কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদানে
ভোটারদের বেশ ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রতিটি ভোটের জন্য গড়ে ৫ মিনিঠ
থেকে ২০ মিনিট সময় ব্যয় হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে ইভিএম নিয়ে ব্যপক প্রচারণা না
থাকায় ভোট গ্রহণে দায়িত্বরতদের অনেকটা ত্যক্ত-বিরক্তও হতে হচ্ছে।
শনিবার সকাল ১০টায় রারিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় দুই ঘণ্টায় ভোট দিতে পেরেছেন মাত্র ২১ জন।
এর আগে সকাল ৮টায় সরেজমিনে গিয়ে চান্দিনা পৌরসভার বিশ্বাস সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নারী ও পুরুষ ভোটারদের ব্যপক উপস্থিতি
দেখা যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় ৬নং কক্ষে গিয়ে দেখা যায় ৩০ মিনিটে ভোট দিতে
পেরেছেন মাত্র ৫ জন।
ভোট দিতে আসা স্থানীয় বিশ্বাস গ্রামের রেহেনা ও জোহরা বেগম জানান, জীবনে
প্রথম এ পদ্ধতি দেখলাম। তাই ভোট দিতে দেরি হয়েছে। কেউ বাড়ি গিয়ে এ পদ্ধতি
দেখিয়ে আসেনি।
একই চিত্র দেখা গেছে কেন্দ্রের অন্যান্য বুথেও। ভোটারদের অভিযোগ বাড়ি
বাড়ি গিয়ে প্রার্থীদের লোকজন ইভিএম বিষয়ে তাদের ভোট দেয়ার পদ্ধতি না
জানানোর কারণে ভোট দিতে দেরি হচ্ছ।
ওই ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আতিক উল্লাহ জানান, ভোটকেন্দ্রে আমরা
ইভিএম বিষয়ে ভোটারদের জন্য প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলাম। এতে অধিকাংশ ভোটার
আসেনি। তাই ভোট প্রদানে আমাদেরকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছেন ৩১ হাজার ৮৪৮ জন। এর
মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৬৭৮ এবং নারী ভোটার ১৬ হাজার ১৭০ জন।