ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোল এখন রোনালদোর
Published : Friday, 22 January, 2021 at 12:00 AM
কোথায়
থামবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো? প্রশ্নটা আসছে তার রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলার
কারণে। বয়স ৩৫ ছাড়িয়ে গেছে, কিন্তু এখনও গোলের পর গোল করে নতুন সব কীর্তি
গড়ছেন পর্তুগিজ যুবরাজ। তবে বুধবার রাতে যে রেকর্ডটি গড়লেন, সেটির
মাহাত্ম্য অন্য পর্যায়ের। ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলের মালিক যে এখন
তিনিই।
ইতালিয়ান সুপার কাপে একবার ল্যভেদ করে ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা
রোনালদো নিয়ে গেছেন ৭৬০-এ। যাতে ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলের তালিকায়
শীর্ষে বসেছেন জুভেন্টাস তারকা। এতদিন জাতীয় দল ও কাব মিলিয়ে সাবেক
অস্ট্রো-চেক স্ট্রাইকার ইয়োসেফ বিকান ৭৫৯ গোল নিয়ে ছিলেন শীর্ষে। গত ১০
জানুয়ারি সিরি ‘আ’তে সাসুউলোর বিপ ল্যভেদ করে বিকানকে ছুঁয়েছিলেন। আর
বুধবার সুপার কাপে নাপোলির বিপে বল জালে জড়িয়ে তাকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ
গোলদাতা বনে গেলেন রোনালদো।
ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফার
অবশ্য আনুষ্ঠানিক ‘সম্মতি’ নেই এই রেকর্ডের। বিকান ছাড়া আরও যে দুজন- পেলে ও
রোমারিওকে টপকে শীর্ষে বসেছেন রোনালদো, তাদের সবারই গোল ১ হাজারের ওপরে
বলে দাবি করা হয়। যদিও ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক বড় সংবাদমাধ্যম ও ফুটবল
পরিসংখ্যান সাইটগুলো বিয়ানের ৭৫৯ গোলকেই সর্বোচ্চ গোল হিসেবে বিবেচনা করে
আসছে। তাই কাব ও জাতীয় দলের জার্সিতে ৭৬০ গোল করে এখন সবার ওপরে রোনালদো।
ক্যারিয়ারের
১ হাজার ৪০তম ম্যাচে এসে গোলের এই কীর্তি গড়লেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ
তারকা। ইতিহাস লেখার পথে রোনালদো সবচেয়ে বেশি গোল পেয়েছেন রিয়ালের
জার্সিতে। জুভেন্টাসে নাম লেখানোর আগে মাদ্রিদে করে এসেছেন ৪৫০ গোল। এছাড়া
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ১১৮, বর্তমান কাব জুভেন্টাসে ৮৫, স্পোর্তিং লিসবনে ৫
ও জাতীয় দল পর্তুগালের জার্সিতে করেছেন ১০২ গোল।
রেকর্ড গড়া ম্যাচটি
রোনালদো রাঙিয়ে নিয়েছেন শিরোপা জেতার উৎসবে। তার সঙ্গে আলভারো মোতারার
ল্যভেদে নাপোলিকে ২-০ গোলে হারিয়ে ইতালিয়ান সুপার কাপের শিরোপা জিতেছে
জুভেন্টাস।
সিলভা-গিনদোয়ানের গোলে জয়রথে সিটি
মরিয়া
চেষ্টা করেও প্রতিপরে জমাট রণ ভাঙতে পারছিল না ম্যানচেস্টার সিটি। জেগেছিল
পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা। তবে শেষ দিকে বের্নার্দো সিলভা ও ইলকাই গিনদোয়ানের
গোলে অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়েছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। আপাত উঠে এসেছে ইংলিশ
প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
নিজেদের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার ২-০ ব্যবধানে জিতেছে সিটি। লিগে দলটির এটি টানা ষষ্ঠ ও সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা নবম জয়।
গত
রাউন্ডে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৪-০ গোলে হারানো ম্যাচের দলে তিনটি পরিবর্তন
এনে খেলতে নামা সিটি চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো। কর্নারে রদ্রির হেড
পাসে কাছ থেকে সিলভার শট দারুণভাবে ফেরান গোলরক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। পরে
গোললাইন থেকে বল কিয়ার করেন ডিফেন্ডার ম্যাটি ক্যাশ।
অধিকাংশ সময় বল
দখলে রেখে আক্রমণে আধিপত্য করা সিটি বিরতির আগে আরও কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি
করেছিল। কিন্তু দারুণ সব ব্লক করে জাল অত রাখেন অ্যাস্টন ভিলার
ডিফেন্ডাররা।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি
স্বাগতিকরা। কেভিন ডে ব্রুইনের পাসে ডি-বক্সে জোয়াও কানসেলোর বাঁ পায়ের শট
ক্রসবার কাঁপিয়ে ফেরে।
সিটির গোলের অপো ফুরোয় ৭৯তম মিনিটে। রদ্রির পাস
ধরে এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে ডি-বক্সের মাথা থেকে জোরালো শটে ঠিকানা
খুঁজে নেন সিলভা। অফ সাইডের দাবি তুলে তর্কে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন ভিলার
কোচ।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সফল স্পট কিকে দ্বিতীয় গোলটি করেন
গিনদোয়ান। ডি-বক্সে গাব্রিয়েল জেসুসের হেড ডিফেন্ডার ক্যাশের হাতে লাগলে
পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
১৮ ম্যাচে ১১ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট
হলো ৩৮। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে দুইয়ে নেমে
গেছে লেস্টার সিটি।
১৬ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে ১১তম স্থানে আছে অ্যাস্টন ভিলা।