কি অপরাধ ছিল লাল শানুর, হয়ত খুব বেশি পেটে ক্ষুধা লেগেছিল সেজন্য চোখের
সামনে সবুজ ধান পেয়ে লোভ সামলাতে না পেরে খেতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেই
খাওয়াটা যে তার জীবনের শেষ খাওয়া হবে কে জানত? সামান্য ধান খাওয়ার জন্য লাল
শানুকে জীবন দিতে হল।
সুনামগঞ্জের ছাতকে ধান খাওয়ার অপরাধে একটি গাভীকে দড়ি দিয়ে চার পা বেঁধে
নির্মমভাবে পিটিয়ে মেরেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সমরাজ আলীর বিরুদ্ধে।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে সুনামগঞ্জের ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের রায়সন্তোষপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার বিকালে ওই গ্রামের
দিনমজুর মাহমুদুর রহমানের একটি গাভী একই গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার ছেলে সমরাজ
আলীর আমন ধান খেয়ে ফেলে। আর এতেই ক্ষুদ্ধ হয়ে জমির মালিক সমরাজ আলীর
নেতৃত্বে গ্রামের ৪-৫ জন মিলে রশি দিয়ে গাভীটির চার পা বেঁধে লাঠি দিয়ে
পিটিয়ে ঘটনাস্থলে গরুটিকে মেরে ফেলে রাখে।
গরুর মালিক মাহমুদুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, আমি একজন দিনমজুর। অনেক
কষ্ট করে ছোট একটা গুরু কিনেছিলাম, তার নাম দিয়েছিলাম লাল শানু। অনেক কষ্টে
গরুটিকে বড় করেছি, কিন্তু সামান্য ধান খাওয়ার অপরাধে গরুটিকে পিটিয়ে হত্যা
করা হয়েছে। আমি আমার গরু হত্যার বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
এ ঘটনায় দিনমজুর মাহমুদুর রহমান রোববার সন্ধ্যায় বাদী হয়ে ছয়জনের নামে
ছাতক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেছে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নাজিম উদ্দিন জাগো নিউজকে
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা গরুকে পিটিয়ে হত্যার করার অভিযোগ
পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।