গ্রামীণ
সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর
(এলজিইজি) এ সেতু বাস্তবায়ন করছে।
আওয়ামী
লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ সদর আসনের এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম শনিবার ভিডিও
কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন।
গ্রামীণ
সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মঞ্জুরুল আলম সিদ্দকী জানান, ৯৭
কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর ওপর ঘাঘা-ধলাইতলা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু
হয়েছে। ৭৮৮.৭০ মিটার দীর্ঘ এ সেতুর এক প্রান্তে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালাবাদ
ইউনিয়নের ঘাঘা-ধলাইতলা এবং অপরপ্রান্তে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল
ইউনিয়নে কোটাকোল গ্রাম। “আমরা
নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গুণগত মান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ সেতুর
নির্মাণ কাজ শেষ করব”, বলেন তিনি।গোপালগঞ্জ
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক বলেন, এ সেতু এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ও
পণ্য পরিবহন সহজ করে দেবে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপিনাথপুর থেকে ঢাকা-খুলনা
মহাসড়ক হয়ে ঘাঘা-ধলাইতলা সেতু পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক আমরা মহাসড়কের সমান প্রসস্ত করে দেব। এই সড়ক
এবং সেতুর কারণে গোপালগঞ্জের সাথে বেনাপোল বন্দরের দূরত্ব কমে যাবে এবং নড়াইলসহ আশপাশের
জেলার সাথে ঢাকার যোগাযোগ সহজ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ অঞ্চলে উৎপাদিত কৃষি পণ্য
সহজে বাজারজাত করে কৃষকরা ন্যায্য দাম পেয়ে লাভবান হবেন। দুই জেলার মানুষের আর্থ-সামাজিক
অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে।
এমপি
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, এই সেতু গোপালগঞ্জ ও নড়াইল জেলার ২০ গ্রামের মানুষের
মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করবে। যাতায়াত, পণ্য পরিবহন ও ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার ঘটিয়ে
এ সেতু দুই জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবে। জালালাবাদ
ইউপি চেয়ারম্যান সুপারুল আলম টিকে বলেন, এ সেতু পশ্চাদপদ জালালাবাদ ইউনিয়নের সাথে
গোপালগঞ্জ সদর, বেনাপোল ও ঢাকার যোগাযোগ একেবারের সহজ হয়ে যাবে। এ অঞ্চলের মানুষ
খুবই উপকৃত হবে। নড়াইল
জেলার কোটাকোল গ্রামের কৃষক রমজান শেখ বলেন, “মধুমতি নদীতে সেতু হবে, এটা আমরা
স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।”