এমন মনোভাব সত্ত্বেও বেশিরভাগ ফ্যাশন ব্র্যান্ড তাঁর কাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে৷ তিনি এমন সব উপাদানের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটান, প্রথম নজরে যা বেমানান লাগে৷ সেই অমিল থেকেই তিনি প্রেরণা পান৷ আমস্টারডামের বিখ্যাত সান্ডবার্গ ইনস্টিটিউটের ছাত্র হিসেবে তিনি প্রথম এমন কোলাজ তৈরির কাজ শুরু করেন৷ ডুরান ল্যানটিংক মনে করেন, ‘‘শুনতে একটু নাটকীয় মনে হলেও এটাই আমার অস্তিত্বের মূলমন্ত্র৷ এই সব বইয়ের মধ্যেই আমার জীবনের প্রতিফলন দেখা যায়৷ আমার সব বিশ্বাস সেখানে স্থান পেয়েছে৷ এটা সত্যি আমার বাইবেলের মতো৷’’
বর্তমানে তিনি নামকরা ফ্যাশন ইভেন্টে নিজের সৃষ্টিকর্ম তুলে ধরেন৷ ২০১৯ সালে আমস্টারডাম ফ্যাশন উইকে যেমনটা করেছিলেন৷ বিলাসবহুল ফ্যাশনের জগতেও টেকসই প্রক্রিয়ার বিষয়টি বর্তমানে গুরুত্ব পাচ্ছে৷ কিন্তু ডুরানের প্রত্যাশা অনেক বেশি৷ তাঁর মতে, ‘‘তারা যত পারে বিক্রির চেষ্টা করে৷ আমার কাছে শিল্পের শাখা হিসেবে ফ্যাশন আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই আমি সেই পরিবর্তন দেখতে চাই৷’’
ভ্রমণে ব্যস্ত না থাকলে ডুরান নিজের টিমের সঙ্গে মিলে মাসে বড়জোর ৬০টি জামাকাপড় তৈরি করেন৷ তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে অদূর ভবিষ্যতে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে৷
ডুরান ল্যানটিংকের মাথায় আরও একটি আইডিয়া ঘুরছে৷ তিনি কোনো উপাদান ছাড়াই জামাকাপড় ডিজাইন করতে চান৷ হলোগ্রাম প্রযুক্তির কল্যাণে শুধু আলোর সাহায্যে পরিধানকে নতুন মাত্রা দেবার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে চান তিনি৷