বিশ্বব্যাংক সরকারি ইলেক্ট্রনিক ক্রয়-ব্যবস্থা (ই-জিপি)’র সম্প্রসারণসহ কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য গতকাল অনুমোদন দিয়েছে ৪ কোটি মার্কিন ডলারের একটি ঋণ।
আজ রবিবার বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়েছে, ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরম্যান প্রজেক্ট (ডিআইএমএপিপিপি)-তে এই অতিরিক্ত অর্থায়ন– সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে ইলেক্ট্রনিক ক্রয়ে ই-জিপি সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও ভবিষ্যতে যে কোন ধরনের জরুরি অবস্থায় এই অর্থায়ন আন্তর্জাতিক দরপত্র, সরাসরি চুক্তি, কাঠামোগত চুক্তি, ইলেক্ট্রনিক চুক্তি ব্যবস্থাপনা ও অর্থ প্রদান, ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ, জিও ট্যাগিং ও অন্যান্য বিষয়সহ ই-জিপি ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য যোগ করতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারি ক্রয় পরিবেশের উন্নয়নে জিডিটাল ব্যবস্থাসহ পদ্ধতিগত পরিবর্তন এনেছে। কোভিড-১৯ এর কারণে সাধারণ ছুটির সময়, ই-জিপি দেশব্যাপী উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যহত রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই অর্থায়ন দেশে সময়মত মনসম্মত সরকারি কার্যক্রম ও সেবা প্রদান অব্যহত রাখতে ই-জিপি’র শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত ও সার্বিক পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটাতে সহায়তা করবে।’
এই অর্থায়ন জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে সহায়তার পাশাপাশি টেকসই ক্রয় প্রক্রিয়ার জন্য একটি টেকসই রোডম্যাপ উদ্ভাবন করবে। এটা ছোট ও মাঝারি ধরনের ব্যবসা ও নারী পরিচালিত ব্যবসায় সহায়তার পাশাপাশি সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনায় নাগরিকদের অংশ গ্রহণের জন্য একটি পদ্ধতি গড়ে তুলবে।
সূত্র : বাসস।