Published : Monday, 8 February, 2021 at 12:00 AM, Update: 08.02.2021 1:36:36 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ।।
কুমিল্লার
মুরাদনগরে রাসেল (৩০) নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায়
মামলার ৫দিন অতিবাহিত হলেও সে উদ্ধার হয়নি। একটি মহল অপহরণের ঘটনাটি
ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনার শিকার রাসেল
ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা
যায়, রাসেল ও তার বাবা খোরশেদ আলম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর বাজারে ফার্নিচার
ব্যবসা করেন। পরমতলা গ্রামের সফিকুল ইাসলামের ছেলে রাসেল মুন্সী (৩৫),
আব্দুল কাদেরের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০), আব্দুস ছামাদের ছেলে আরাফাত বাবু
(২৮) ব্যবসায়ী রাসেল ও তার বাবা খোরশেদ আলমের নিকট এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি
করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ওই ব্যবসায়ীদের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে তারা।
তারই জের ধরে গত ২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাসেলকে বাড়ি থেকে ডেকে
এনে রাসেল মুন্সী ও তার সহযোগিরা তাকে বেধরক মারধর করে। তাতেও টাকা দিতে
রাজি না হওয়ায় রাসেলকে বস্তাবন্দী করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনাটি
দূর থেকে প্রতিবেশী একজন মোবাইল ফোনে গোপনে ভিডিও ধারণ করেন। রাসেলের বাবা
খোরশেদ আলম এ ভিডিও দেখে নিশ্চিত হন চাঁদা দাবি করা রাসেল মুন্সী ও তার
সহযোগিরা তার ছেলে ব্যবসায়ী রাসেলকে অপহরণ করেছে। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত ৭
জনের নাম উল্লেখ করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল
ম্যাজিষ্ট্রেটের ৮নং আমলী আদালতে মামলা দেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তদন্ত
প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মুরাদনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
ভূক্তভোগির
বাবা খোরশেদ আলম দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, রাসেল মুন্সীর নেতৃত্বে একটি
চক্র দীর্ঘদিন যাবত আমাদের কাছে চাঁদা চেয়ে আসছিল। না পেয়ে পরিকল্পিত ভাবে
তারা আমার ছেলেকে অপহরণ করেছে। ফেসইবুকে ভাইরাল হওয়া রাসেলের নির্যাতনের
ভিডিও দেখে আমি আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না। যে কোন মূল্যে আমি আমার
ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাসেল মুন্সী, সাইফুল ইসলাম ও আরাফাত বাবুর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মুরাদনগর
থানার ওসি সাদেকুর রহমান দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, ঘটনার শিকার
রাসেলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে সে
পালিয়েছে। তবে বিষয়টি আরো গভীর ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।