কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ভাতিজি প্রেম করে বিয়ের পর বাড়িতে ফেরার ঘটনার জেরে মা ও ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছায়েদুল হক সিকি (২৮) নামে এক যুবক। তাকে পুলিশ আটক করেছে। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের পুঁজকরা গ্রামের পূর্ব পাড়ার বেপারী বাড়ীতে এই হত্যার ঘটনাটি ঘটে। এসময় ওই ভাতিজিসহ আরও দুইজন আহত হয়।
নিহতরা হলেন, ঘাতক ছায়েদুল হকের মা ও ওই এলাকার আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৭০) এবং ভাই আজিজুল হকের স্ত্রী ভাবী নুরুন নাহার বেগম পুষ্পা (৪৫)। আহত ভাতিজি আরজু আক্তার (২৮)।
মা ও ভাবি হত্যার ঘাতক ছায়েদুল হক সিকি (২৮) আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের পুঁজকরা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, প্রেম করে বিয়ের ভাতিজি স্বামীর বাড়ী থেকে আনা নাস্তা খাওয়াকে কেন্ত্র করে তার মায়ের সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ছায়েদুল হক সিকি বটি দা দিয়ে মা ও ভাবীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাদের বাচাঁতে ছায়েদুল হক সিকি ভাতিজি আরজু আক্তারকে চুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা নুরজাহান ও ভাবি নুরুন নাহার বেগম পুষ্পাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘাতক ছায়েদুল হক সিকিকে তাৎক্ষণিকভাবে ওই গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।