কুমিল্লার বুড়িচংয়ে স্ত্রী কর্তৃক নারী নির্যাতনে মামলায় বর্তমানে স্বামী সার্ভেয়ার শ্রীঘরে অবস্থান করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের পূর্বহুড়া গ্রামের আবদুল খালেক ভূইয়ার ছেলে মো. আরিফুল আলম ভুইয়া (৩৩) সাথে একই ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া হাবিবুর রহমানের কন্যার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর থেকে উভয় পরিবারের মধ্যে যৌতুক ও অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে দ্বন্ধ চলে আসে। বিবাহের পর স্বামী ও পরিবারের লোকজন তাদের পুত্রবধুর উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার শুরু করে। এক পর্যায়ে যৌতুক লোভী শাশুড়ী তার পুত্রবধুকে বাবার বাড়ী থেকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক ও দাবী করে। তা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে মারধোর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লীলা ফুল জখম করে। এ নিয়ে মেয়ের পিতা কুমিল্লার বিজ্ঞ বিচারক (জেলা জজ) নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলার রায়ে গত ৪/২/২১ ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে শ্রীঘরে প্রেরণ করে। এছাড়া, স্থানীয় বিদ্যালয় সূত্রে আরিফুল আলম ভুইয়া সম্পর্কে তার পরিবর্তন করে পরীক্ষা পাশ সহ বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য পাওয়া যায়-সে তথ্যানুযায়ি আরিফুল আলমের আসল নাম ছিল মো. জামশেদুর রহমান ভুইয়া। বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের পূর্বহুড়া গ্রামের আবদুল খালেক ভূইয়ার ছেলে মো. জামশেদুর রহমান ভুইয়া, পূর্বহুড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৯ ইং সনে এসএসসি সমমানের পরীক্ষায়
অকৃতকার্য হয়। সে পরের বার অনিয়মিত পরীক্ষার্থ হিসেবে ২০০০ ইং সনে ওই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ও ফলাফল রিপোর্টেড হয়। পরবর্তীতে ২০০১ ইং সনে পিতার নাম ঠিক রেখে তার নাম জামশেদুর রহমান ভুইয়া পরিবর্তন করে মো. আরিফুল আলম ভুঞা নামে পরীক্ষা দিয়ে অবৈধভাবে সে জিপিএ ২.৮৮ অর্জন করতে সক্ষম হয় বলে জানা যায়। অধিকন্তু, সে আরিফুল আলম ভুঞা নামে আইডি কার্ড ও সম্পন্ন করে যার আইডি নং- ১৯১১৮৯৪৬৫০৫৩৮। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন এলাকার সচেতন জনগণ।